— প্রতীকী ছবি।
ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে এক আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁরই প্রেমিক-সহ আরও অন্তত ১০ জনের বিরুদ্ধে। নিগৃহীতার অভিযোগ, তাঁকে ৮ থেকে ১০ জন মিলে ধর্ষণ করেন। পুলিশ নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পেরেছে, তরুণী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তার পরেই এই ঘটনা।
নিগৃহীতা দিল্লিতে চাকরি করেন। সম্প্রতি এক জনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। ফোনে ঘনঘন দু’জনের কথা হত। তরুণী তাঁর বন্ধুর নাম জানতেন হেমব্রম। এ ছাড়া আর কিছুই জানা ছিল না তাঁর। হেমব্রমের সঙ্গে দেখা করতে তিনি দিল্লি থেকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের বাড়িতে আসেন। রবিবার বিকেলে হেমব্রমের সঙ্গে দেখা হয় তরুণীর। নিগৃহীতাকে বাইকের পিছনে বসিয়ে ঘোরেন হেমব্রম। সন্ধ্যার সময় তরুণীকে নিয়ে হেমব্রম একটি জায়গায় পৌঁছন। লোকালয় থেকে দূরে জায়গাটিতে তাঁরা দু’জন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরও ৮ থেকে ১০ জন ব্যক্তি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তরুণীকে চেপে ধরে শুরু হয় শারীরিক নিগ্রহ। তার পর গণধর্ষণ। অত্যাচারে এক সময় জ্ঞান হারান তরুণী। জ্ঞান ফিরলে দেখেন, তিনি পড়ে রয়েছেন একটি মাঠে। কোনও মতে সেখান থেকে উঠে নিকটবর্তী গ্রামে যান নিগৃহীতা। গ্রামের একটি বাড়িতে সব জানান। তার পর গ্রামবাসীরাই নিগৃহীতাকে পুলিশের কাছে পৌঁছে দেন।
পাকুড়ের পুলিশ সুপার হৃদীপ পি জনার্দন জানিয়েছেন, পাকুড় সদর হাসপাতালে নিগৃহীতা তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই তরুণীর কাছ থেকে মোবাইলটি কে়ড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে হেমব্রম সম্পর্কে আর কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। যে বাইকে বসিয়ে তরুণীকে ঘুরিয়েছিলেন যুবক, সেই বাইকের নম্বরও বলতে পারছেন না নিগৃহীতা। ফলে অভিযুক্তদের সম্পর্কে কিছুই জানা যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের ধরতে বিকল্প পথ নেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ।