— প্রতীকী ছবি।
ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এক যুবকের গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের আগরা পুলিশ। এই সংক্রান্ত ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই পুলিশ নড়চড়ে বসে। শোনা যাচ্ছে, বিষয়টি চার মাস পুরনো।
মাস চারেক আগে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ভিকি নামে ফতেহপুর সিক্রির এক বাসিন্দার গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আদিত্য নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি ভোলা নামে তাঁর এক সহযোগীকে নিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কিন্তু তখনকার মতো ঘটনা ধামাচাপা পড়লেও সম্প্রতি সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তার পরেই নড়েচড়ে বসে যোগীরাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় আদিত্য এবং ভোলাকে। যদিও ভিকির সন্ধান এখনও পায়নি পুলিশ। পুলিশ কর্তারা মনে করছেন, ভিকির সন্ধান পেলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আদিত্যের নামে আগেও অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। জেলও খেটেছেন তিনি। এ হেন আদিত্যকেই অন্যের গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে অন্যের গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার বেশ কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ক’দিন আগেই মধ্যপ্রদেশে এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে এক দলিত ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ ওঠে। দেশ জুড়ে ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। প্রথমে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠলেও পরবর্তীতে এনএসএ-সহ একাধিক কঠোর ধারায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ঘটনায় দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষোভ প্রশমনে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান নিজে সেই নিগৃহীত দলিত ব্যক্তির পা ধুইয়ে দেন। যদিও তাতে কতটা ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ হল, তা নিয়ে ধন্দ আছে খোদ বিজেপির মধ্যেই। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিজেপি শাসিত প্রদেশে একই ধরনের ঘটনা ঘটল।