স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, যুবকদের বিপথে চালিত করতে সমাজমাধ্যমে সক্রিয় টিআরএফ। প্রতীকী ছবি।
পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)-কে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর পরেই বিবৃতি দিয়ে নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করল টিআরএফ। আজকের ওই বিবৃতিতে খতম-তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের আরও এক বার হুমকি দিয়েছে টিআরএফ।
গত বৃহস্পতিবার টিআরএফ-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। লস্কর নিষিদ্ধ হওয়ার পরে, ২০১৯ সালে এই নতুন নামে সামনে আসে জঙ্গি সংগঠনটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, যুবকদের বিপথে চালিত করতে সমাজমাধ্যমে সক্রিয় টিআরএফ। এ দেশে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানোর জন্য জঙ্গি নিয়োগ করছে সংগঠনটি। পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি-অনুপ্রবেশ আর অস্ত্র ও মাদকের চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে। টিআরএফ-এর সদস্য ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আর একটি বিবৃতিতে মহম্মদ আমিন ওরফে আবু খুবাইবকে সন্ত্রাস দমন আইনে ‘ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট’ বা একক জঙ্গি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের খুবাইব এখন থাকে পাকিস্তানে। সেখান থেকে উপত্যকায় লস্করের কাজে নজর রাখে।
কয়েক মাস আগে জঙ্গি হামলায় কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটের হত্যার পরে সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত বেশির ভাগ কাশ্মীরি পণ্ডিত কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আবার তাঁরা কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। শনিবার এ কথা জানান কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার পান্ডুরং কোন্ডবারাও পোল। ওই কর্মচারীদের বেতন চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। কমিশনারের কথায়, “কর্মচারীরা কাজের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।”
এ দিকে, লে অ্যাপেক্স বডি (ল্যাব) ও কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) শনিবার জানিয়েছে, তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গড়ে দেওয়া উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির বৈঠকে যোগ দেবে না। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠিত হয়েছে লাদাখ নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতার সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে। কিন্তু ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তি, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া এবং লে আর কার্গিলকে দু’টি আলাদা সংসদীয় কেন্দ্রে ভাগ করার মতো বিষয়গুলি আলোচ্যসূচিতে নেই। দাবিগুলি নিয়ে বছর দেড়েক ধরে আন্দোলন করে আসছে সংগঠন দু’টি। আজ তারা যৌথ বৈঠক ডেকেছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়।