রেলযাত্রীদের পাতে এখন মিলবে বিরিয়ানিও!

কলকাতা থেকে কল্যাণ, হায়দরাবাদ থেকে হোসিয়ারপুর— সর্বত্রই যাত্রীদের এক রা, ‘‘ট্রেনে বিরিয়ানি পেলে মন্দ হয় না।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

এ বার ট্রেনের মেনুতেও বিরিয়ানি!

Advertisement

কলকাতা থেকে কল্যাণ, হায়দরাবাদ থেকে হোসিয়ারপুর— সর্বত্রই যাত্রীদের এক রা, ‘‘ট্রেনে বিরিয়ানি পেলে মন্দ হয় না।’’

ট্রেনে যাত্রীরা কী ধরনের খাবার খেতে চান, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল দেশজুড়ে। কলকাতা, হায়দরাবাদ বা লখনউয়ের যাত্রীদের বড় অংশ যে বিরিয়ানির পক্ষ নেবেন, সেটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, বিরিয়ানির জনপ্রিয়তা কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের গণ্ডিতে আটকে থাকেনি। বরং দেশের সব প্রান্তেই এই খাবারটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। তাই সব দিক ভেবেই রেলের মেনুতে বিরিয়ানি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইআরসিটিসি। সেই সঙ্গে রেল জানিয়েছে, এখন থেকে খাবারের দামও বেশ কিছুটা বাড়বে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দূষণ নিয়ে বৈঠকে নেই, জিলিপি খাচ্ছেন গম্ভীর

প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, এখন থেকে তিন ধরনের বিরিয়ানি পাওয়া যাবে ট্রেনে। নিরামিষ, ডিম ও চিকেন। দাম পড়বে যথাক্রমে ৮০, ৯০ ও ১১০ টাকা। বর্তমানে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনে বিরিয়ানি বিক্রি করতে দেখা যায় অনেককে। তা হলে এটা নতুন কী হল? জবাবে রেল জানিয়েছে, এ বার আইআরসিটিসি-র খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল বিরিয়ানি। যা এত দিন ছিল না। কড়া নজরদারির মধ্যে তা বানানো হবে রেলের বেস কিচেনে। ধীরে ধীরে দূরপাল্লার সব ট্রেনেই বিরিয়ানি রাখার কথা ভেবেছে রেল।

এ দেশে বিরিয়ানি কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়ে একাধিত মত রয়েছে। কিন্তু একটি বিষয়ে সকলে নিশ্চিত যে, বাঙালিকে বিরিয়ানির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন অযোধ্যার নবাব ওয়াজেদ আলি শা। শুধু মাংস ব্যবহার করলে খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে, তাই নবাবের হেঁসেলের বিরিয়ানিতে প্রথমে মিশল আলু, পরে তার সঙ্গে যোগ হল ডিম। অওয়ধি বিরিয়ানি হয়ে গেল কলকাতা বিরিয়ানি। ভিন্ দেশের রসিকরা যা-ই বলুন, আলু ছাড়া বিরিয়ানির কথা ভাবতেই পারেন না অনেক বাঙালি। সে কারণে এমন প্রশ্নও উঠেছে, রাজ্যের সীমানা পেরোলেই যেখানে বদলে যায় বিরিয়ানির স্বাদ, সেখানে রেল কী ধরনের বিরিয়ানি পরিবেশন করবে? কলকাতার ট্রেনে কি বিরিয়ানিতে আলু মিলবে?

মাথা চুলকাচ্ছেন রেল কর্তারা। তবে আশ্বাস দিতে ছাড়ছেন না। তাঁরা বলছেন, প্রতিটি জোনের বেস কিচেনে বিরিয়ানি বানানো হবে। স্বভাবতই স্থানীয় পাচককে দিয়ে তা রান্না করানো হবে। ফলে আশা করা হচ্ছে স্থানীয় স্বাদ পাবেন যাত্রীরা। এক রেলকর্তার বক্তব্য, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ছ’মাসের জন্য ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে যাত্রীদের কাছ কেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ’’

বিরিয়ানিকে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি রাজধানী, শতাব্দী ও দুরন্ত-র মতো যে সব ট্রেনে রেল খাবার পরিবেশন করে, সেগুলিতে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। বর্তমানে ওই তিনটি ট্রেনের যাত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি রেলের খাবার খাবেন কি না।

মন্ত্রক জানিয়েছে, এ বার যাঁরা রেলের খাবার খাবেন, তাঁদের অতিরিক্ত প্রায় ৩ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি দাম দিতে হবে। খাবারের দাম বাড়ছে দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেসে। তবে ওই ট্রেনগুলিতে টিকিটের সঙ্গে খাবারের দাম ধরা থাকে না। সে ক্ষেত্রে ট্রেনে খাবারের দায়িত্বে থাকা প্যান্ট্রি কর্মীদের কাছ থেকে বাড়তি দাম দিয়ে খাবার কিনতে হবে রেল যাত্রীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement