ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে ঢুকতে গেলে যাত্রীদের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে। পাঁচ রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) মধ্যরাত থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকরী হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এই রাজ্যগুলো হল মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ় এবং পঞ্জাব। এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে ওই পাঁচ রাজ্যগুলি থেকে আসা ট্রেন, বিমান এবং বাসযাত্রীদের ক্ষেত্রে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে।
গত কয়েক দিন ধরে মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ় এবং পঞ্জাবে উদ্বেগজনক ভাবে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। যা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলোও। কেন হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করল তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। মহারাষ্ট্র এবং কেরলে শুরু হয়েছে ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’। শুধু তাই নয়, একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণের খোঁজ চালাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনগুলো। নতুন প্রজাতি এই সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী, এমন তত্ত্ব সামনে এলেও কেন্দ্র কিন্তু এখনই তাতে সিলমোহর দিতে চাইছে না।
কিন্তু তাতেও উদ্বেগ কমছে না। নতুন প্রজাতি নিয়ে এই উদ্বেগের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের সংক্রমণ বৃদ্ধি সেই উদ্বেগকে এক ধাক্কায় বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সূত্রের খবর, দেশে মোট করোনা সংক্রমণের ৮৬ শতাংশই এই পাঁচ রাজ্য থেকে। দিল্লিতে সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। পাঁচ রাজ্যে বাড়তে থাকা সংক্রমণের দিকে নজর রেখেই দিল্লি সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলেই সূত্রের খবর।
পঞ্জাবকে ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারি, আরটিপিসিআর পরীক্ষা এবং কন্টেনমেন্টের বিষয়ে জোর দিতে বলেছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ মঙ্গলবারই জমায়েতের উপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাড়িতে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ জনের বেশি নয় এবং বাইরে জমায়েতের ক্ষেত্রে ২০০ জনকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ মার্চ থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকরী হবে।
মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় পূর্ণ এবং আংশিক লকডাউন জারি করেছে রাজ্য সরকার। কেরলেও বেশ কয়েকটি জেলায় কড়া পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪২ জন। মোট সংক্রমণ ১ কোটি ১০ লক্ষ ৩০ হাজার ১৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট সংক্রমণের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন মহারাষ্ট্র (৬,২১৮) এবং কেরল (৪,০৩৪) থেকে।