বাড়িতেই বানাবেন নরম, সুন্দর কুলচা। ময়দা মাখা, বেলায় কোন কৌশল মানতে হবে? ছবি:ফ্রিপিক।
বিরিয়ানি থেকে চাঁপ, মোগলাই কিংবা কবাব— সেই কবেই ঢুকে পড়েছে বাংলার হেঁশেলে। বাদ নেই পঞ্জাবি থেকে গুজরাতি খাবারও। বাঙালি বিয়েবাড়িতেও মেনুর তালিকায় এখন জ্বলজ্বল করে রকমারি কুলচা। রেস্তরাঁয় গেলেও অনেকেই খোঁজ করেন কুলচার। নরম রুটির ভিতরে থাকে আমিষ বা নিরামিষ পুর। সে সব দেখেশুনে ঠিক করলেন, বাড়িতেই আলুর কুলচা বানাবেন। তবে তার সঠিক কৌশলও জানতে হবে। ময়দা মাখা থেকে বেলা, ছোটখাটো টিপ্স মানলেই রেস্তরাঁর মতো স্বাদু কুলচা বানানো যাবে।
১. কুলচা তৈরির প্রথম ধাপটি হল আটা বা ময়দা মাখা। ময়দা মাখতে হবে ঠেসে ঠেসে। তাতে যথাযথ নুন, তেল, জল জরুরি। ভাল কুলচা তৈরির জন্য দিতে হবে মাপ মতো বেকিং সোডা। নরম কুলচা খেতে হলে আটা বা ময়দা মাখতে হবে ঈষদুষ্ণ জলে।
২. আটা মাখার পর ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে অন্তত আধ ঘণ্টা সেটি রেখে দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে দেখতে হবে, মাখার সময় আটা যেন ফেটে না যায়।
৩. আলু কুলচার স্বাদের অনেকটাই নির্ভর করবে পুরের উপর। পুরটি যত সুস্বাদু হবে, খেতে ততই ভাল লাগবে। পুর তৈরির সময় আলু ভাল করে মেখে নেওয়া জরুরি। তেল, ঝাল, নুন, মশলা কম-বেশি হওয়া চলবে না।
৪. মশলা হিসেবে জোয়ান, ভাজা জিরে ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কার মিশেলে পুরটি সুস্বাদু হওয়া দরকার।
৫. শেষ ধাপে কুলচা বেলার সময় উপর থেকে সাদা, কালো তিল, ধনেপাতা ছড়িয়ে নিলে খেতে যেমন ভাল লাগবে, দৃষ্টিনন্দনও হবে। রসুনের স্বাদ পছন্দ হলে কুচো রসুন মাখনে ডুবিয়ে সেটিও ময়দা বেলে নেওয়ার পর ব্রাশ করে দিতে পারেন।