যৌন অপরাধের দায়ে এই প্রথম কেরলে কোনও ট্রান্সজ়েন্ডার সম্প্রদায়ভুক্তের সাজা হল বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। প্রতীকী ছবি।
যৌন হেনস্থার দায়ে কেরলের এক রূপান্তরিত তরুণীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিল ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁকে ২৫,০০০ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাবাস হবে তাঁর। যৌন অপরাধের দায়ে এই প্রথম কেরলে কোনও রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ভুক্তের সাজা হল বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ষোলো বছরের এক কিশোরকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন বলে তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা সাচু স্যামসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সে দিন তিরুঅনন্তপুরমে যাওয়ার জন্য চিরেনকিঝু থেকে ট্রেনে উঠেছিল কিশোরটি। ট্রেনেই তার সঙ্গে আলাপ হয় ৩৪ বছরের ওই ট্রান্স-তরুণীর। অভিযোগ, কিশোরকে থাম্পানুর স্টেশনে নিয়ে গিয়ে তার যৌন হেনস্থা করেন তিনি। সাচুর সঙ্গে যেতে অস্বীকার করায় কিশোরকে মুখ বন্ধ রাখার হুমকিও দেন। এর পর থেকে ওই কিশোরকে বার বার ফোন করে দেখা করার কথা বলেন সাচু। যদিও সাচুর সঙ্গে দেখা করতে রাজি ছিল না কিশোরটি। তাঁর মোবাইল নম্বর ‘ব্লক’ করে দিলে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কিশোরকে মেসেজ করতে শুরু করেন সাচু।
সংবাদমাধ্যমের দাবি, মায়ের মোবাইল থেকে কিশোরটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করায় মেসেজগুলি দেখে ফেলেন ওই মহিলা। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনার তদন্তে নামেন থাম্পানুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর এসপি প্রকাশ। পুলিশের নির্দেশেই এ বার নিজের মোবাইল থেকে ফেসবুকে লগ ইন করে সাচুকে মেসেজ করে দেখা করতে বলেন কিশোরের মা। পুলিশের দাবি, থাম্পানুর এলাকায় কিশোরের সঙ্গে দেখা করতে এলে সাচুকে গ্রেফতার করে তারা।