(বাঁ দিকে) শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়কর। (ডান দিকে) এই গাড়ি নিয়েই বেরোতেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে মহারাষ্ট্রের শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়করের একের পর এক ‘কীর্তি’। এ বার তাঁর আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। পূজার বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে নোটিস পাঠাল পুণে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ২১ বার ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাচক্রে, যে গাড়িতে লাল বাতি লাগিয়ে ঘোরার অভিযোগ উঠেছে পূজার বিরুদ্ধে, সেই গাড়ি নিয়েই পূজা ট্র্যাফিক আইন ভেঙেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষানবিশ এই আমলাকে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো এবং ট্র্যাফিক আইন ভাঙার জন্য ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। ২৭ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। পূজার পুণের বাড়িতে গিয়ে সেই নোটিস দিয়ে এসেছে পুলিশ। নোটিসে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনার ব্যক্তিগত গাড়িতে মহারাষ্ট্র সরকার লেখা স্টিকার লাগানো ছিল। গাড়িতে লাগানো ছিল লাল-নীল বিকন আলোও।’’ পূজাকে নিয়ে যখন আলোচনা আরও জোরদার হচ্ছে, তার মধ্যেই ট্র্যাফিক আইন ভাঙার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে এত দিন কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এত বার ট্র্যাফিক আইন ভাঙার পরেও কী ভাবে ছাড় পেলেন এই শিক্ষানবিশ আমলা?
পূজার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ উঠেছিল শিক্ষানবিশ আমলা হয়েও কী ভাবে গাড়িতে ভিআইপি স্টিকার, লাল-নীল ‘বিকন’ আলো, এমনকি মহারাষ্ট্র সরকারের সরকারি বোর্ড লাগিয়েছিলেন তিনি? শুধু তা-ই নয়, পূজার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারেরও অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার পূজা। মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনে কাজে যোগ দেওয়ার এক বছরও পূর্ণ হয়নি তাঁর। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ যায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে। অভিযোগকারী পূজার ঊর্ধ্বতন অফিসার তথা পুণের জেলাশাসক সুভাষ দিওয়াসে। পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জেলাশাসকের কাছে এমন কিছু সুবিধা দাবি করেছিলেন, যা একজন শিক্ষানবিশ আমলাকে দেওয়া হয় না। শুধু তা-ই নয়, কাজে যোগ দেওয়ার আগে জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ‘হুকুম’ জারি করারও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তার পরই পূজার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে মহারাষ্ট্র সরকার।