তামিলনাড়ুর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এক জুনিয়র চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। —প্রতীকী চিত্র।
তামিলনাড়ুতে মেডিক্যাল কলেজের ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক জুনিয়র ডাক্তার। বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে তরুণী আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর সহকর্মী এবং সহপাঠীরা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপূরম জেলার এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা। ওই মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন শেরলিন (২৩)। সেই সঙ্গে হাসপাতালে ডাক্তারির প্রশিক্ষণও চলছিল তাঁর। পুলিশ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। হাসপাতালের কর্মী এবং মৃতের সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে মেডিক্যাল কলেজের ছ’তলার জানলায় দীর্ঘ ক্ষণ বসেছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। তাঁর সহপাঠীরা ছবি তুলতে গিয়ে তাঁকে ও ভাবে বসে থাকতে দেখেন। কিন্তু তাঁরা তাঁর কাছে পৌঁছনোর আগেই তরুণী জানলা থেকে ঝাঁপ দেন বলে অভিযোগ। পুলিশকে সহপাঠীরা তেমনটাই জানিয়েছেন।
ছ’তলা থেকে নীচে পড়েন তরুণী। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে এই আত্মহত্যা, এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সুইসাইড নোটও পায়নি পুলিশ। ওই তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট হাতে পেলে কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, কর্মক্ষেত্রে ওই ডাক্তারকে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও সম্ভাবনাই আপাতত উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে গত ৯ অগস্ট এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সারা দেশ এখন তোলপাড়। কলকাতার পাশাপাশি সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বিচারের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। পালিত হয়েছে কর্মবিরতি। হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ব্যক্তির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। কলকাতায় আন্দোলন এখনও চলছে। চলছে কর্মবিরতিও। এই পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের রহস্যমৃত্যু আলাদা তাৎপর্য বহন করছে বলে মত অনেকের।