—ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক দূরত্বকে সরিয়ে রেখে অন্তত শ্রমিক স্বার্থে আন্দোলনের সময়ে সঙ্ঘের কর্মী সংগঠন বিএমএস-কে পাশে চাইছে অধিকাংশ বাকি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। এ নিয়ে সম্প্রতি তাদের চিঠি দিয়েছে কংগ্রেসের কর্মী সংগঠন আইএনটিইউসি-ও। কিন্তু বিএমএসের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায়ের দাবি, শ্রমিকদের জন্য সরকারের কাছে দাবি তোলা থেকে তাঁদের উপরে অন্যায়ের প্রতিবাদ-সহ সমস্ত বিষয়ে বাকি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গেই রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বাকি ইউনিয়নগুলির উপরে রাজনৈতিক দলের ছায়া এতটাই দীর্ঘ যে, সেই কারণেই একসঙ্গে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাঁদের পক্ষে।
ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের কথায়, ইউপিএ জমানায় শ্রমিকবিরোধী সরকারি নীতির বিরুদ্ধে বাকি ইউনিয়নগুলির সঙ্গেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিত বিএমএস। কিন্তু সেই ঐক্যে চিড় ধরে ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায়। কোনও একটি ধর্মঘটের প্রস্তাব ঘিরে মতান্তর ঘটে। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন, “শ্রমিক-স্বার্থেই আমরা ঐক্য চাই। চাই যে, সরকারের সামনে আলোচনার টেবিলে একসঙ্গে বসে আলোচনার পাশাপাশি প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও একসঙ্গে শামিল হোক বিএমএস।”
কিন্তু উপাধ্যায়ের বক্তব্য, বাকি ইউনিয়নগুলির উপরে রাজনৈতিক দলের প্রভাব এতটাই বেশি যে, শ্রমিক-স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে তাতে। এ ক্ষেত্রে তাঁর ইঙ্গিত আইএনটিইউসির উপরে কংগ্রেস, সিটুর উপরে সিপিএম, এআইটিইউসির উপরে সিপিআই ইত্যাদির দিকে। সংশ্লিষ্ট মহলে পাল্টা প্রশ্ন রয়েছে, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকার প্রভাব বিএমএসের উপরেও পড়ছে না কি? উপাধ্যায়ের দাবি, তাঁরা সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন। বিজেপির ছায়া তাঁদের কার্যক্রমে নেই।