নরেন্দ্র মোদীর ‘উপহার’ ফিরিয়ে ধর্মঘটে অটল থাকার কথা কালই জানিয়েছিলেন ধর্মঘটীরা। আজ যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন, ধর্মঘট থেকে সরে আসা সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন বিএমএসের কর্মীদেরও এতে সামিল করা হবে। ধর্মঘটের পাশাপাশি হবে চাক্কা জ্যামও।
১১টির মধ্যে বিএমএস বাদ দিয়ে ১০টি সংগঠন আজ যৌথ বিবৃতি জারি করে বললেন, ধর্মঘট এড়াতে শেষ বেলায় শ্রমিকদের জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার যে ঘোষণা করেছে, তা চোখে ধুলো দেওয়ার নামান্তর। শ্রমিকদের ন্যূনতম ভাতা প্রতি মাসে ১৮ হাজার টাকার কম কিছুতেই হয় না। খোদ সরকারপক্ষও আগে এটি স্বীকার করেছিল। কিন্তু গতকাল দৈনিক ভাতা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করার মানে মাসে রোজ কাজ করলেও তা মেরেকেটে ১১ হাজার টাকা হয় না। অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার জন্য আইএলও আগেই সুপারিশ করেছে। নতুন করে আর একটি কমিটি গঠন মানে ফের পিছু হঠা। আর বোনাস বাজেটেই ঘোষণা হয়েছিল। এত দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কেন্দ্র। ফলে সেটিও নতুন কিছু নয়। ফলে শ্রমিকদের ১২ দফা দাবির একটিও মানেনি সরকার।
আরও পড়ুন: মোদীর উপহার ফেরালেন ধর্মঘটীরা
শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, গত বছর ১৫ কোটি শ্রমিক ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। এ বার আরও বেশি শ্রমিক যোগ দেবেন। সঙ্ঘের চাপে বিএমএস-এর নেতারা হয়তো ধর্মঘট থেকে সরে গিয়েছেন। কিন্তু তাদের কর্মীরা যোগ দেবেন পুরোদমে। ধর্মঘট সফল করতে চাক্কা-জ্যামও হবে। দশ রাজ্যে এর প্রভাব পড়বে। তবে জরুরি পরিষেবাকে এর আওতার বাইরে রাখা হবে।
প্রশ্ন হল, গতকাল অরুণ জেটলির প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরেও কেন আজ যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করতে হল শ্রমিক সংগঠনগুলিকে?
সংগঠনগুলির আশঙ্কা, অরুণ জেটলির ঘোষণার পর বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। আজও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বকেয়া বোনাস, ন্যূনতম ভাতা বৃদ্ধির মতো মোদী সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলির তারিফ করে বিবৃতি জারি করেছেন। মোদী সরকার সর্বদা গরিবদের পাশে- এই বার্তা দিয়ে ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছে বিজেপি। এই প্রচারকে টেক্কা দিতেই শ্রমিক সংগঠনগুলি আরও আক্রমণাত্মক হল আজ।