সরব বঙ্গের শ্রমিকেরা

কারখানাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া বা বন্ধের চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার, এই অভিযোগে প্রায় দু’ঘণ্টা এ দিন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-এ (সিএলডব্লিউ) বিক্ষোভ দেখান প্রায় দশ হাজার কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৯ ০২:০২
Share:

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

বিলগ্নিকরণের তালিকায় চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-কে (সিএলডব্লিউ) আনা হতে পারে এই আশঙ্কায় কোমর বেঁধেছে প্রায় সব শ্রমিক সংগঠন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন ‘ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ’ (বিএমএস)-ও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘এ বারের বাজেট বিলগ্নিকরণের বাজেট। সিএলডব্লিউ রাজ্যের অন্যতম পুরনো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। তার উপরে কোনও রকম আঘাত এলে তৃণমূল সর্ব শক্তি নিয়ে পথে নামবে।’’

Advertisement

কারখানাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া বা বন্ধের চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার, এই অভিযোগে প্রায় দু’ঘণ্টা এ দিন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-এ (সিএলডব্লিউ) বিক্ষোভ দেখান প্রায় দশ হাজার কর্মী। এ দিকে, বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট (এএসপি)-সহ দেশের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার কৌশলগত বিলগ্নিকরণের জন্য দ্বিতীয় বারের জন্য ‘গ্লোবাল টেন্ডার’ ডেকেছে সেল। তারই প্রতিবাদে এ দিন কারখানার গেটে সিটু ও আইএনটিইউসি যৌথ ভাবে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভে যোগ না দিলেও প্রতিবাদের বিষয়টির সঙ্গে তারা সহমত বলে জানায় আইএনটিটিইউসি ও বিএমএস।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সিএলডব্লিউ-সব বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বরাত দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। এখন কেন্দ্র সেগুলিকে ‘মেরে ফেলার’ ছক কষছে। মমতা বলেন, ‘‘তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছি, অবিলম্বে পথে নেমে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলবে। মানুষ কেন্দ্রের এই ভূমিকা কিছুতেই মেনে নেবেন না।’’

Advertisement

গত ১৮ জুন সিএলডব্লিউ-কে ‘কর্পোরেট’ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় রেল বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারখানার বর্তমান শ্রমিক সংখ্যা, সংস্থার সম্পত্তির পরিমাণ, সংস্থার ভবিষ্যৎ প্রভৃতি বিষয়ে সমীক্ষা চালাবে রেলের একটি সংস্থা। যদিও কারখানার ১৩টি শ্রমিক সংগঠন, স্টাফ কাউন্সিলের মঞ্চ ‘সেভ সিএলডব্লিউ জয়েন্ট অ্যাকশান কমিটি’-র আশঙ্কা, পরে কারখানাটিকে বন্ধ করা বা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিএমএসের রাজ্য নেতা উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। এএসপি, সিএলডব্লিউ-র বেসরকারিকরণ চলবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement