জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের জীবন রক্ষার জন্য সরকারের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
গত ৩ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাবদ মোট ২,৮১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। সাংসদ রাজমণি পাটেল রাজ্যসভায় প্রশ্ন রেখেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা খাতে প্রতি বছর কত টাকা খরচ করা হয়? এ ছাড়াও কোন খাতে কত টাকা খরচ করা হয়েছে, সেই বিষয়েও জানতে চেয়েছিলেন রাজমণি।
রাজমণির প্রশ্নের জবাবে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠন কাজ করে। তাই কোন সংস্থার জন্য কত খরচ হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। তবে, গত ৩ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের সুরক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯-২০ খরচ করা হয়েছে ১,২৬৭ কোটি টাকা। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে ৬১১ কোটি খরচ হয়েছে। ২০২১-২২ সালে মোট ৯৩৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ৩ বছরে মোট খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় ২,৮১৪ কোটি টাকা।
নিরাপত্তার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার পরেও জঙ্গিরা নাগরিকদের এবং বিশেষ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এখনও কেন হত্যা করে চলেছে, এই প্রশ্নও রাখা হয়েছিল রাজ্যসভায়। নিত্যানন্দের বক্তব্য, সরকার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোনও রকম নমনীয়তা দেখানোর পক্ষে নয়। জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত উন্নতির পথে এগিয়েছে। ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায় ৪১৭টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। কিন্তু তার ৩ বছর পর ২০২১ সালে সেই সংখ্যা কমে ২২৯-এ এসে দাঁড়িয়েছে। গত ৩ বছরে উপত্যকায় ৯ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ জন কাশ্মীরি রাজপুত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের জীবন রক্ষার জন্য সরকারের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চব্বিশ ঘণ্টা নাকা চেকিং, দেশবিরোধী কোনও কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ। এ ছাড়া গোয়েন্দাদের পাঠানো বার্তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।