চলছে নমুনা সংগ্রহ।— ফাইল চিত্র
ভারতে একটু একটু করে বাড়ছে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার পর্যন্ত ওই নয়া প্রজাতির করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০। বৃহস্পতিবার তা পৌঁছেছে ২৫-এ। এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এই হারে ‘ব্রিটেন স্ট্রেন’-এ আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধিতে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বিশ্বজুড়ে নয়া স্ট্রেন নিয়ে বাড়াবাড়ি হতেই বিদেশ থেকে আসা করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই মোতাবেক পরীক্ষায় পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ৪ জনের নমুনায় নয়া স্ট্রেন মিলেছে। দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজিতে ১ জনের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে ওই স্ট্রেন। এর আগে দেশে যে ২০ জনের শরীরে মিলেছিল করোনার নতুন স্ট্রেন, তাঁদের মধ্যে ১ জন কলকাতার। এছাড়াও, দিল্লিতে ৯, বেঙ্গালুরুতে ৭, হায়দরাবাদে ২ এবং পুণের ল্যাবে ১ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেনের উপস্থিতি মিলেছিল।
আরও পড়ুন: কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে টিকা, দাবি এইমসের ডিরেক্টর গুলেরিয়ার
আরও পড়ুন: নতুন স্ট্রেন রুখতে দিল্লিতে জারি নৈশ কার্ফু, নিষেধাজ্ঞা বর্ষবরণের পার্টিতেও
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তদের সবাকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন থেকে ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন প্রায় ৩৩ হাজার যাত্রী। তাঁদের সকলের খোঁজ নেওয়া হয়েছে। এই সব যাত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারগুলিকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনগামী বিমান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল আগেই। বুধবার অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।