India China Conflict

Ladakh dispute: লাদাখ প্রসঙ্গে ফের কথা ভারত ও চিনের

বেশ কিছু দিন স্তব্ধ থাকার পরে ফের সীমান্ত থেকে সেনা সরানো নিয়ে কথা শুরু হল ভারত এবং চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৫৬
Share:

ফাইল চিত্র

বেশ কিছু দিন স্তব্ধ থাকার পরে ফের সীমান্ত থেকে সেনা সরানো নিয়ে কথা শুরু হল ভারত এবং চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের। তাজিকিস্তানে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বৈঠক চলল দু’দিন। পাশাপাশি আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করলেন জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। এরই ফাঁকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বৈঠক করে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কথা বলেছেন।
পরে জয়শঙ্কর টুইটারে বলেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি হল শান্তি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখা। সেই লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে।’’ বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি বেশি দিন চললে তা ভারত এবং চিন, কোনও দেশের জন্যই ভাল নয়। তা সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘ভারত-চিন সম্পর্ক কোনও তৃতীয় পক্ষের চোখ দিয়ে দেখা ঠিক নয়।’’

Advertisement

সূত্রের খবর, বৈঠকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী সীমান্তবর্তী অঞ্চলের যে সংঘর্ষবিন্দুগুলি থেকে এখনও সেনা সরানো হয়নি তার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই পক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের শীর্ষ নেতাদের দ্রুত বৈঠকে বসা নিয়ে একমত হয়। জয়শঙ্কর চিনের বিদেশমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘ভারত কখনওই সংঘর্ষের তত্ত্ব মেনে চলেনি এবং ভারত-চিনের পারস্পরিক সম্পর্কের উপরেই গোটা এশিয়ার ঐক্য নির্ভর করছে।’’

একই সঙ্গে জয়শঙ্কর জানান, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতেই সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। আর এই সম্পর্ককে মজবুত করতেই চিনের উচিত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে তৃতীয় দেশের চোখ দিয়ে না দেখা। বৈঠক শেষে টুইটেও ভারতের বিদেশমন্ত্রী বিষয়টি উল্লেখ করেন। তবে জয়শঙ্কর বৈঠকে ‘তৃতীয় দেশ’ বলে উল্লেখ করলেও, বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে ‘তৃতীয় দেশগুলি’ বলা হয়েছে, যা তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

বেজিংয়ের তরফেও জানানো হয়েছে, তারা জয়শঙ্করের বক্তব্যের সঙ্গে এক মত। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘চিন ও ভারত এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তাদের সম্পর্ক বাড়ানোর উপযুক্ত কারণ রয়েছে। চিন-ভারত সম্পর্ক তৃতীয় পক্ষকে নিশানা করে না। এই
সম্পর্ক তৃতীয় পক্ষের উপরে নির্ভরশীলও নয়।’’

সূত্রের খবর, দুই দেশের মধ্যে আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement