গ্রেফতার পরিচারক। ছবি টুইটার।
জম্মু ও কাশ্মীরের কারারক্ষী বাহিনীর ডিজিপি হেমন্ত কুমার লোহিয়াকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন অন্যতম মূল অভিযুক্ত ইয়াসির আহমেদ। অভিযুক্ত যুবক ডিজিপির পরিচারক। মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযানের পর তাঁকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে এডিজিপি মুকেশ সিংহ বলেছেন, ‘‘সোমবার রাত থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। হেমন্ত লোহিয়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। অভিযুক্তকে জেরা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ খুনের নেপথ্যে কী কারণ, তা অভিযুক্তকে জেরা করলেই স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সোমবার গলা কাটা অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি হেমন্ত কুমার লোহিয়ার দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর সরকারি বাসভবন সংস্কারের কাজ চলায় বর্তমানে এক বন্ধুর বাড়িতে সপরিবার থাকছিলেন লোহিয়া। ১৯৯২ ব্যাচের ওই আইপিএস অফিসার গত দু’মাস আগেই কারা বিভাগের ডিজিপি হিসাবে কাজে যোগ দেন। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর সফরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সফরের মধ্যেই ডিজিপিকে খুনের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিজিপিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে তাঁর গলা কাটা হয় বলে অভিযোগ। দেহ পোড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন ইয়াসির।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ডায়েরিটি ইয়াসিরের বলে দাবি করা হয়েছে। ডায়েরিতে এক জায়গায় লেখা রয়েছে, ‘‘প্রিয় মৃত্যু, আমার জীবনে এসো।’’ আবার কোথাও লেখা রয়েছে, ‘‘আমি দুঃখিত, খারাপ দিন যাচ্ছে।’’ এই ডায়েরি দেখে পুলিশ মনে করছে, ইয়াসির অবসাদে ভুগছিলেন। অন্য দিকে, খুনের দায় স্বীকার করল লস্কর-ই-তইবার ভারতীয় শাখা ‘পিপিলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফোর্স’ (পিএএফএফ)। অমিত শাহের সফরে এটা ‘ছোট উপহার’ বলে বর্ণনা করেছে তারা।