নিকিতা জেকব (বাঁ দিকে) ও দিশা রবি। —ফাইল চিত্র
প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির আগে নিজেদের মধ্যে জুম-মিটিং করেছিলেন টুলকিট মামলায় গ্রেফতার দিশা রবি এবং অভিযুক্তরা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানাল দিল্লি পুলিশ। ১১ জানুয়ারি ওই মিটিং-এ নেটমাধ্যমে কৃষক আন্দোলন নিয়ে ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা করেছিলেন ৩ জন। দিশা রবির গ্রেফতারি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ।
প্রজাতন্ত্র দিবসে র্যালির আগের দিন একটি টুলকিট নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন সুইডেনের তরুণী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। বিশ্ব জুড়ে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের আহ্বান জানানো হয়েছিল ওই টুলকিটের মাধ্যমে। কিন্তু ওই টুলকিট খালিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীদের তৈরি করা বলে তদন্তে নেমে দাবি করে পুলিশ। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয় মামলা। দিশা রবি ছাড়াও নিকিতা জেকব এবং শান্তনু মুলুকের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ। সেই মামলাতেই দেশদ্রোহিতার অভিযোগে দিশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও ফেরার নিকিতা এবং শান্তনু। তবে শান্তনু আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর গ্রেফতারি এড়াতে।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশের দাবি, পুনিত নামে কানাডার এক মহিলা যোগাযোগ করেন নিকিতা, শান্তনু ও দিশার সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই ওই টুলকিট তৈরি করেছিলেন তাঁরা। ১১ জানুয়ারি তাঁরা ওই জুম মিটিং করেন।
রবিবার পুলিশ জানিয়েছিল, দিশাই এই কর্মকাণ্ডের মূল মাথা। দিশার ফোনেও তার প্রমাণ মিলেছে। তবে দিশা আদালতে বলেন, ‘‘ওই টুলকিট আমি তৈরি করিনি। আমরা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করতে চেয়েছিলাম। ওই টুলকিট থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি আমি দু’টি লাইন এডিট করেছিলাম।’’ যদিও পুলিশের দাবি, দিশা, নিকিতা ও শান্তনুই ওই টুলকিট তৈরি করেন এবং এডিটিং-এর আহ্বান জানান।
অন্য দিকে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁদের মেসেজ চালাচালি হত, সেটি ডিলিট করে দেন দিশা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, পরিবারের লোকজনকে না জানিয়েই দিশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই দিশাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।