প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
দেশবাসীকে দেওয়া নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি কতটা অসার তা প্রমাণে ‘জুমলা মিটার’ নিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত আট বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদী কালো টাকা উদ্ধার, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা, প্রতিটি মানুষের মাথায় পাকা ছাদ, বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি-সহ বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা কতটা পালন হয়েছে ‘জুমলা মিটার’-এর মাধ্যমে আমজনতার সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাংলার শাসকদল সূত্রের দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন ‘জুমলা মিটার’-এর সাহায্যে মোদী সরকারের প্রতিশ্রুতি যে ফাঁপা তা প্রমাণ করেছিল তৃণমূল। দুর্নীতি-কাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়া তৃণমূল তাই পুজোর আগেই ‘জুমলা মিটার’ চালু করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন আজ বলেন, ‘‘গত আট বছরে একটি প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়িত করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার।’’ পরিসংখ্যান তুলে ধরে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রতিটি গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পের মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে। কালো টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যে নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দেখা গিয়েছে ৯৯.৩ শতাংশ অর্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে।
তৃণমূলের দাবি, বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিল মোদী সরকার। সেই চাকরি তো হয়নি। বরং মোদী জামানায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ক্রমশ কমেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘বেটি বঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের ৫৬ শতাংশ বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। একই ভাবে আট বছরেও দেশে বুলেট ট্রেনের জন্য সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র। আজ সন্ধ্যায় মোদীর পুরনো একটি ভাষণের একাংশ টুইট করেন ডেরেক। যেখানে দেশে ১০০টি স্মার্ট শহর তৈরির প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। ডেরেকের টুইট, ‘ওই ক্লিপে কি আপনি বক্তব্য রাখছেন? না কি জাল ভিডিয়ো’? ওই তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, ‘‘২০২২ শেষ হতে চার মাস বাকি। ১০০টি স্মার্ট সিটির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার কী হল!’’