TMC

মন্ত্রীর সময় না পেলে আজ ধর্না দিল্লিতে

সম্প্রতি বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে সম্ভাব্য রক্তপাতের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:১৬
Share:

সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

বুধবার সকালে কৃষিভবনের সামনে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে তৃণমূল নেতৃত্ব সময় চেয়েছিলেন বুধবার সকালে। কিন্তু সূত্রের খবর, ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে মন্ত্রীর অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি সময় দিতে পারবেন না। দলীয় সূত্রের মতে, সময় না পাওয়া গেলে ধর্নায় বসবে দল। তবে নেতৃত্বের বক্তব্য, মন্ত্রী সময় না দিতে পারলে প্রতিমন্ত্রীর হাতেও অভিযোগনামা তুলে দিতে রাজি তাঁরা।

Advertisement

আজ দিল্লিতে অভিষেক বলেন, ‘‘একাধিক বার আমাদের প্রতিনিধিদল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একশো দিনের কাজের বকেয়া কেন্দ্রীয় অর্থ দাবি করেছে। কিন্তু লাভ হয়নি। একমাত্র বাংলার টাকাই আটকে রাখা হয়েছে। ১৭ লাখ পরিবার কাজ করে বসে রয়েছে, টাকা পায়নি। বাকি রয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা।’’ সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এই বিষয়টি নিয়ে কী ভাবে সুর চড়াতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব? অভিষেকের কথায়, ‘‘আমাদের এক দিকে বাংলার মানুষকে বোঝাতে হবে যে তারা টাকা পাচ্ছে না কেন্দ্রের বঞ্চনায়। অন্য দিকে দিল্লিতে আমরা এই অর্থের দাবিতে দরবার করব। দরকার হলে রাস্তায় নামব।’’ তাঁর অভিযোগ, গত দুবছরে মোট ১৫১ বার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় দল এসে নানাবিধ তদন্ত করে গিয়েছে। কোনও উল্লেখযোগ্য কারচুপি পায়নি, কিন্তু টাকাও ছাড়েনি। যদি কিছু দুর্নীতির অকাট্য প্রমাণ কেন্দ্র পায়, তা হলে সেই একশো বা হাজার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করিয়ে বাকিদের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল। অন্য দিকে বিজেপির দিলীপ ঘোষের মতো নেতাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার দাবি করতেই পারে। কিন্তু যে টাকা খরচ হয়েছে, সেই হিসাব দিতে হবে রাজ্যকে। সেই হিসাব যত ক্ষণ না কেন্দ্রের ঘরে জমা পড়ছে, তত ক্ষণ কী ভাবে টাকা ছাড়া সম্ভব?

সম্প্রতি বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে সম্ভাব্য রক্তপাতের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। আজ দিল্লিতে বসে কিন্তু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ডাকই দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, ‘‘যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে একশো শতাংশ মনোনয়নপত্র জমা পড়ে তার জন্য সবাইকেই চেষ্টা করতে হবে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে দু’থেকে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ বার যাতে সে রকম না ঘটে তার জন্য সক্রিয় হতে হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement