Opposition Alliance

রাহুল, খড়্গের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্ন নেই, ভোটের পর ‘ব্যাটে রান’ দেখে জোট নিয়ে ভাববে তৃণমূল

দলীয় সূত্রে আজ এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, সনিয়া আলোচনায় বসতে চাইলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচনের আগে নয়, ভোটের পরেই জোটের কথা ভাবতে আগ্রহী তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ০৮:০৩
Share:

মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে রাহুল গান্ধী। কর্নাটকের বেলগাভীতে। ছবি: পিটিআই।

জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্য নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বা মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে তৃণমূলের আলোচনার কোনও প্রশ্নই নেই। কংগ্রেসের তরফে একমাত্র সনিয়া গান্ধী আগ্রহ প্রকাশ করলে, তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। দলীয় সূত্রে আজ এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, সনিয়া আলোচনায় বসতে চাইলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচনের আগে নয়, ভোটের পরেই জোটের কথা ভাবতে আগ্রহী তৃণমূল।

Advertisement

তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “আমাদের লক্ষ্য ২০২৪-এর নির্বাচনে ৪২টি আসনে একা লড়ে ভাল ফল করা। রাজ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেস বিরোধী ভোটকে এক করা এবং তাদের ভোটদাতাদের নিজেদের দিকে নিয়ে আসাটাই অগ্রাধিকার। সে ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যে গিয়ে কেন কংগ্রেসকে হাওয়া দেব আমরা? আঞ্চলিক দল যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে লড়াই করুক। লোকসভা ভোটের পরে দেখা যাক কার ব্যাটে কত রান। কংগ্রেসও সেখানে আসতে পারে।”

তৃণমূলের এই অবস্থানকে আক্রমণ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরীর পাল্টা, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ সব করছেন মোদীজির নির্দেশে। ওঁর (মমতা) লক্ষ্য হল কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে ধ্বংস করা, ভাবমূর্তি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া।’’ অধীরের অভিযোগ, ‘‘উনি ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে চান। যে কংগ্রেসের বিরোধিতা করবে, তাঁর প্রতি মোদী সন্তুষ্ট হবেন।’’

Advertisement

কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘাত সংসদে জারি রয়েছে। রাজ্যসভায় আজ তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গে তির্যক বাক্য বিনিময় হয় কংগ্রেসের জয়রাম রমেশের। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গেলে, জয়রাম ব্যঙ্গ করে তাঁকে বলেন, “একলা চলো রে!” সুখেন্দুশেখর পাল্টা বলেন, ‘‘অন্যকে ডাকার পর না এলে, একলা চলার কথা বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আর তাঁর দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘চল রে চল সবে ভারত সন্তান/ মাতৃভূমি করে আহ্বান।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে অনেক বার ডেকেছিলেন সকলকে— ২০১৯ সালের ব্রিগেড বা গত বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়। সাড়া পাননি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement