অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রাকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় শক্তিপরীক্ষা করতে চাইছে তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
আগরতলায় ১৫ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রাকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় শক্তিপরীক্ষা করতে চাইছে তৃণমূল। সেই পদযাত্রার প্রস্তুতির জন্য আজ আগরতলায় বৈঠক করলেন দলীয় নেতৃত্ব। তাতে হাজির রইলেন কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবেরা। দলীয় সূত্রে খবর, পদযাত্রার আগে দলের সব গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার বার্তা দেওয়া হল। অভিষেকের সফরের সময়ে ত্রিপুরায় মোতায়েন থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের দুই অফিসার। সে কথা পশ্চিমবঙ্গের ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের তরফে ত্রিপুরা সরকারকে জানানো হয়েছে। আগে ত্রিপুরা সফরের সময়ে অভিষেকের গাড়িতে হামলা হয়েছে। তাতে বিজেপি জড়িত বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
অন্য দিকে, ত্রিপুরায় গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের অন্যতম কারিগর সুনীল দেওধরের দিল্লির বাড়ির গণেশ পুজোয় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের আমন্ত্রণ নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কুণাল বলেছেন, ‘‘এই আমন্ত্রণের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। আমি আগরতলায় থাকায় শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল পাঠিয়েছি।’’
ত্রিপুরায় গিয়ে ‘খেলা’র কথা এ দিন শোনা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। আজ পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘নেত্রী নির্দেশ দিলেই ত্রিপুরায় খেলতে যাব। বাংলার মতো একের পর এক গোল দেব। তখন বিজেপি চোখে সর্ষেফুল দেখবে।’’ আবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে অসমকন্যা সুস্মিতাকে দেখা গেলে তা অসমেরই গৌরব বলে মন্তব্য করেছেন সে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা। আজ শিলচরে সুস্মিতা দেব প্রসঙ্গে ভূপেন বলেন, ‘‘তাঁর দলত্যাগে কংগ্রেসের কতটা ক্ষতি হয়েছে, বা আদৌ হয়েছে কি না, তা সময় বলবে। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তে অসমের লাভ হতে চলেছে।’’
বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা থৈবা সিংহ আজ কংগ্রেসে যোগদান করেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে কাছাড় জেলার লক্ষীপুর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাস্ত হন। এ বার দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। নির্দল হিসেবে লড়ে হারেন। বিজেপি দল-বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সাসপেন্ড করলে সুস্মিতা দেবের মাধ্যমে তিনি কংগ্রেসে যোগদানের কথাবার্তা শুরু করেছিলেন। এখন সুস্মিতা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী হলেও থৈবা জানান, তিনি কংগ্রেস কর্মী হিসাবেই সমাজের কাজ করে যেতে চান।