Mallikarjun Kharge

খড়্গেকে নিয়ে ‘বিরূপ’ই তৃণমূল, সমন্বয়েও বিরাগ

গত এক বছর যাবৎ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা খড়্গেই তাঁর ঘরে নিয়মিত প্রাতরাশ বৈঠক ডেকেছেন, অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কৌশল রচনার জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২২ ০৭:২১
Share:

মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছবি: সংগৃহীত।

মল্লিকার্জুন খড়্গে শেষ পর্যন্ত যদি কংগ্রেসের সভাপতি হন, তাঁর সম্পর্কে শীতল মনোভাবই বজায় থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসের। আজ দলীয় সূত্রে সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রশ্নেও একই ‘অ্যালার্জি’ বহাল থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের।

Advertisement

গত এক বছর যাবৎ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা খড়্গেই তাঁর ঘরে নিয়মিত প্রাতরাশ বৈঠক ডেকেছেন, অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কৌশল রচনার জন্য। তাতে অন্য বিরোধী দল যোগ দিলেও দেখা যায়নি তৃণমূলের কোনও সাংসদকে। সার্বিক ভাবে বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে কংগ্রেসকে অস্বীকার করতে চাওয়ার বার্তাই এ ভাবে দিয়ে এসেছে তৃণমূল। এরপর জুন মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী বাছাই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে মুখোমুখি তিক্ততা তৈরি হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একটি বিস্তারিত বিবৃতি তৈরি করে এনেছিলেন মমতা, দিল্লির সেই গোলটেবিল বৈঠকে। সেটি বিরোধী দলের প্রস্তাব আকারে পড়া এবং প্রকাশ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মূলত খড়্গের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি দু’দিন আগেও শরদ পওয়ার মমতাকে কথা দিয়েছিলেন যে তিনিই সর্বসম্মতিক্রমে রাষ্ট্রপতি পদে দাঁড়াতে চলেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মত বদলে নেন পওয়ারও। পরে পওয়ার এবং কংগ্রেস, বামেরা মিলে যখন উপরাষ্ট্রপতি পদে মার্গারেট আলভাকে বেছে নেন, তখন তা সমর্থন করেননি মমতা। তৃণমূলের বক্তব্য, বাম এবং কংগ্রেস সবকিছু আগে থেকে ঠিক করে পরে তাদের খবর দিয়েছিল।

আজ তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তাঁর ঘরে বৈঠক ডাকছেন। আমরা যাওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি, কারণ আমরা মনে করি, সংসদে বিরোধী কৌশল স্থির করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ অথবা লবিতে দাঁড়িয়ে দু’মিনিট আলোচনাই যথেষ্ট। তার জন্য কোনও বিশেষ নেতার ঘরে গিয়ে আলাদা করে বৈঠক করতে হয় না।” রাষ্ট্রপতি ভোটের সময় বিরোধী উদ্যোগের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “সেই সময় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমাদের বলে দেওয়া হয়েছিল, এক জনের সঙ্গেই সব বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করতে। তিনি মল্লিকার্জুন খড়্গে। আপনারা সবাই জানেন, ওই বৈঠক কী ভাবে শেষ হয়েছিল। গত এক বছর ধরে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক জনকে রাখা হয় সব যোগাযোগের জন্য। তার ফলাফল কী হয়েছে, সেটাও অজানা নয়।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement