সৌগত রায়। ফাইল চিত্র।
সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে বিরোধী এবং ট্রেজারি বেঞ্চের তরজায় প্রায়ই দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন ভোটের মহড়া। আজ রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা সংক্রান্ত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর জবাবের মাঝেও দেখা গেল সেই দৃশ্য।
রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে ধন্যবাদজ্ঞাপক প্রস্তাবের উত্থাপক বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় পরশু লোকসভায় তৃণমূলের দিকে তীব্র কামান দেগেছিলেন। তাঁর বিষয় ছিল, ‘পিসি-ভাইপোর দুর্নীতি’। গত কাল তার পাল্টা দিয়ে তৃণমূলের সৌগত রায় বলেন, “ভূতপূর্ব সিনেমা অভিনেত্রী এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার তুলে কথা বলেছেন। এটা ঠিক নয়। আমরা কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিবার নিয়ে কথা বলি?” আজ এর জের দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। মোদী বলা শুরু করার আগেই সৌগতবাবু বলেন, “আজ আর আপনি কাঁদবেন না! বরং কৃষকদের জন্য সমাধান বাতলান।”
কাল কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদের বিদায় সম্ভাষণে চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছিল মোদীকে। আজ অবশ্য মুচকি হেসে মোদী সৌগতবাবুকে বলেন, “দাদা, আপনি ঠিক আছেন তো!” কৃষক আইন নিয়ে সওয়াল করার সময় সৌগতবাবুকে উদ্দেশ করে মোদীর মন্তব্য, “ভেবেছিলাম দেশের কৃষি সমস্যা নিয়ে অনেক অধ্যয়ন করে দাদা আসবেন। কিন্তু দেখা গেল তিনি প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ যাত্রার বিবরণ দিতেই ব্যস্ত! দাদার জ্ঞান থেকে এ বার বঞ্চিত হলাম। দেখা যাক ভোটের পরে যদি সুযোগ পাওয়া যায়!” মোদী বলেন, “আপনারা বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে চলেছেন, দেখা যাক আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি কি না।” বিক্ষোভরত কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের চেয়ে আপনি বাংলায় বেশি প্রচার পাবেন!”
বাংলার রাজনীতি নিয়ে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর বাক্য বিনিময় হয়। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদেরা দেশের কথা না-বলে বাংলা নিয়েই বেশি কথা বলছেন। দাঁড়িয়ে উঠে সুদীপবাবু লকেটের বক্তৃতার উল্লেখ করে বলেন, “যিনি শাসক দলের পক্ষে রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদজ্ঞাপক প্রস্তাবের উত্থাপক, তিনি নিজেই তো বাংলার বাইরে একটা শব্দও বললেন না। এমনকি পিসি-ভাইপোও বললেন। সংসদে কী ভাবে কী বলতে হয়, তা ওই সাংসদকে শেখান।”