পেগাসাসের সাহায্যে মোবাইলে আড়ি পাতা
জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া, পেগাসাসের সাহায্যে মোবাইলে আড়ি পাতা, সংবাদমাধ্যমের উপরে ছড়ি ঘোরানো এবং আধারের যথেচ্ছ ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের তথ্য সংগ্রহ—এই যাবতীয় বিষয়কে নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্নের সঙ্গে জুড়ে আজ তৃণমূল সাংসদেরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সরব হলেন।
আজ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ‘ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা ও তার প্রভাব’ ও ‘সংবাদমাধ্যমের কাজে নৈতিক মানদণ্ড’ সংক্রান্ত দুটি খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আধার কর্তৃপক্ষের কাজকর্ম নিয়ে বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের কর্তারাও স্থায়ী কমিটির সামনে হাজিরা দিয়েছেন। সূত্রের দাবি, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা নিয়ে খসড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোথায়, কত দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকে তথ্য নেই। অর্থনীতিতে এর প্রভাব খতিয়ে দেখা দরকার। বৈঠকে তৃণমূলের দুই সাংসদ জহর সরকার ও মহুয়া মৈত্র যুক্তি দেন, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সঙ্গে নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্ন জড়িত। নেট বন্ধ হলে ব্যাঙ্কের লেনদেন, ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, ইচ্ছেমতো তা করা যায় না। এই প্রসঙ্গে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবার অপব্যবহারের প্রশ্ন তুলে আড়ি পাতা নিয়ে সরব হন জহর। সূত্রের দাবি, জহর বৈঠকে বলেন এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছ আইন প্রয়োজন। আইন যে মেনে চলা হচ্ছে, তা নিয়েও সরকারকে স্থায়ী কমিটির কাছে বিবৃতি দিতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের কাজে নৈতিক মানদণ্ডের প্রসঙ্গে অর্থের বিনিময়ে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে টিআরপি বাড়ানোর অভিযোগ নিয়েও আলোচনা হয়। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস মিডিয়া কমিশন তৈরির পক্ষে সওয়াল করেন। আধার কর্তৃপক্ষ যে ভাবে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নজরদার রাষ্ট্রের রাস্তা তৈরি করছেন, সে বিষয়েও নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্ন তোলেন জহর সরকারেরা। সব ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করায় নাগরিকদের পুরো গতিবিধির তথ্য সরকারের হাতে চলে আসছে বলে তাঁরা অভিযোগ তোলেন।