যে টুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাতে সাকেত মোরবী সেতু ভাঙার ঘটনাস্থলে মোদীর পরিদর্শনে আসার খরচের হিসাব দিয়েছিলেন। ফাইল চিত্র।
তাঁকে গ্রেফতার করার যুক্তি মাথায় ঢুকছে না তৃণমূলের জাতীয় স্তরের মুখপাত্র সাকেত গোখলের। মঙ্গলবার আদালত যাওয়ার পথে বিস্মিত সাকেত সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটা ঠাট্টা মনে হচ্ছে আমার!’’ মোরবী সেতু ভাঙা নিয়ে টুইট করার জন্যই সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। সাকেতের প্রশ্ন, ‘‘মোরবী সেতু নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমি গ্রেফতার হলাম, আর যাঁর জন্য সেতু ভাঙল, সেই ওরেভার মালিক এখনও বাইরে!’’
গত ১ ডিসেম্বর মোরবী সেতু ভাঙা নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন সাকেত। সূত্রের খবর, সেই টুইটের জন্যই সাকেতকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ। অন্য দিকে, মোরবী ব্রিজের মেরামতির দায়িত্ব ছিল নির্মাণ সংস্থা ওরেভা গ্রুপের উপর। মেরামতির পর তাঁদের সবুজ সঙ্কেত পেয়েই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। সাকেত তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে শাসকের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনটি।’’
যে টুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাতে তৃণমূলের জাতীয় স্তরের নেতা লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাতে মোরবী সেতু ভাঙার পর সেখানে শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিদর্শনের জন্য খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি খরচ করা হয় শুধু মোদীকে অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য এবং ছবি তোলার জন্য।’’ ওই টুইটে আরও একটি হিসাব দেখিয়ে সাকেত লিখেছিলেন, ‘‘মোরবী সেতু ভেঙে মৃত ১৩৫ জনকে মোট ৫ কোটি টাকার এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রশাসনের কাছে মোদীকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানের দাম ১৩৫ জনের জীবনের থেকে বেশি!’’
প্রসঙ্গত, সোম থেকে মঙ্গলবারের অন্তর্বর্তিকালীন রাত ২টোর সময় রাজস্থানের জয়পুর বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাকেতকে। গ্রেফতারির আগে দু’মিনিট ফোন করার সময় দেওয়া হয়েছিল সাকেতকে। শেষ কলটিতে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাকেত জানিয়েছিলেন, তাঁকে আমদাবাদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে পৌঁছবেন তিনি। এর পর মঙ্গলবার বিকেলে সাকেতকে আদালতে তোলার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র।