ছবি: পিটিআই।
বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির শেয়ার বেচে টাকা তোলার মরিয়া চেষ্টা রয়েছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। আজ সংসদের ভিতরে বাইরে বিষয়টির বিরোধিতা করল তৃণমূলের সংসদীয় দল। আজ সকালে অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদে ধর্না দেন দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদেরা। পরে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেশের ৪২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, বিএসএনএল, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।’’
পরে সংসদের বাইরে সুদীপবাবু আরও জানান, ‘‘দেশের জাতীয় সম্পদগুলিকে বেচে দেওয়া চলবে না। অলাভজনক সংস্থাগুলির প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে সরকারকে।’’ ব্রেথওয়েট সংস্থাটির কথা আলাদা করে উল্লেখ করেছেন সুদীপ। রাজ্যসভাও বার বার উত্তাল হয়েছে এই বিলগ্নিকরণ নিয়ে। এ নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ায় কক্ষত্যাগ করেন রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্যরা। মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘আমাদের সাংসদ দোলা সেন নোটিস দিয়েছিলেন। কিন্তু তা গ্রাহ্য করা হল না।’’ রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে সরব হয়েছেন তাঁরা।
তৃণমূলের নোটিস নিয়ে আলোচনা না হলেও আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা বিইএমএল-এর ২৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেন রাজ্যসভায়। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও প্রতিরক্ষা কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানের বিলগ্নিকরণ যখন করা হয় তখন তা এমন ভাবেই করা হয়, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। আমরা সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করেই চলছি।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।