আলভার মতে, ভোটে তৃণমূলের নিরপেক্ষ থাকা আদতে বিজেপিকেই সাহায্য করবে। ফাইল ছবি
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার করে দেখার জন্য আবেদন জানালেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভা। তাঁর মতে, ভোটে তৃণমূলের নিরপেক্ষ থাকা আদতে বিজেপিকেই সাহায্য করবে। তাই নিজের সিদ্ধান্ত আরেক বার পুনর্বিবেচনা করে দেখুন তৃণমূল নেতৃত্ব। আলভা ওই দাবি করলেও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এনডিএ শিবির উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের বিপক্ষে মার্গারেট আলভাকে প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। কিন্তু আগেভাগে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা ভাবে কংগ্রেস আলভার নাম ঘোষণা করার অভিযোগে ওই নির্বাচনে তৃণমূল নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও বামদের অভিযোগ, ধনখড়ের জয় নিশ্চিত করার জন্যই জেনেবুঝে নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যাতে আখেরে বিজেপিরই সুবিধা হয়। বাম দলগুলি নরেন্দ্র মোদী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ তুলে সরবও হয়েছে। এই আবহে আজ দ্বিতীয় বার তৃণমূলকে নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানালেন মার্গারেট আলভা। তিনি আজ টুইট করে বলেন, ‘‘বিরোধী শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হল তৃণমূল। উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকা বিরোধীদের আদৌ সাহায্য করবে না। বরং তা ক্ষমতাসীন দলকেই সাহায্য করবে। তৃণমূলের এখনও বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার সময় রয়েছে এবং বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূল সাংসদদের ভোট দিতে দেওয়া হোক।’’
সংসদে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হবে আগামী ৬ অগস্ট। ঘটনাচক্রে সে দিন দিল্লিতে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলভার বারংবার আবেদন সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘এ বিষয়ে সংসদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন হলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। উভয় কক্ষের সাংসদদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনার পরে মমতার নেতৃত্বে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ যে পদ্ধতিতে আমাদের অন্ধকারে রেখে সে সময়ে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাতে আমাদের খারাপ লেগেছিল। এখন তৃণমূলকে বড় বিরোধী শক্তি হিসাবে মনে করলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে সম্ভবত সেই তথ্য ভুলে গিয়েছিলেন। মার্গারেট আলভাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনও জায়গা নেই। পুনর্বিবেচনার গোটা বিষয়টিই দলনেত্রীর সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করছে।’’