আগামী বছর থেকে ভাষা আলাদা হলেও, মেডিক্যালের সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ‘নিট’-এ মূল প্রশ্নপত্র একই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। দিন দু’য়েক আগে কলকাতায় ওই আশ্বাস দিয়ে এসেছেন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
কিন্তু সিবিএসই-র খামখেয়ালিপনায় যাঁরা এ বছর বঞ্চনার শিকার হলেন, সেই পরীক্ষার্থীদের কী হবে তা নিয়ে আজ জবাবদিহি চায় তৃণমূল, ডিএমকে ও এডিএমকে। রাজ্যসভায় চাপের মুখে শাসক শিবির উত্তর দেওয়ার জন্য এক দিন সময় চেয়েছে। তৃণমূল জানিয়েছে, আলোচনার জন্য কাল ফের রাজ্যসভায় নোটিস দেবে দল।
নিট পরীক্ষার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্য অভিযোগে জানায়, ওই সব রাজ্যে যাঁরা নিজেদের মাতৃভাষা তথা আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের প্রশ্নপত্র ইংরেজি প্রশ্নপত্র থেকে অনেকাংশেই আলাদা এবং কঠিন। সব ক’টি মামলাই সুপ্রিম কোর্টে চলছে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ, ‘‘একাধিক প্রশ্ন সিলেবাসের বাইরে ছিল। সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়াদের কথা ভেবেই প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। মার খেয়েছেন রাজ্য বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা।’’ আজ রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
বিভিন্ন ভাষায় প্রশ্নপত্র করায় যে বিভ্রান্তি বেড়েছে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে কেন্দ্র। প্রকাশ জাভড়েকরের কথায়, ‘‘আগামী বছর থেকে ভাষা অন্য হলেও, মূল প্রশ্ন একই থাকবে।’’ কিন্তু এ বছর যে ছাত্র-ছাত্রীরা বৈষম্যের শিকার
হলেন, তাঁদের কী হবে? বিরোধী দলের জোটে এইডিএমকে মতো বিজেপি-ঘনিষ্ঠ দলও যোগ দেওয়ায় স্বভাবতই অস্বস্তি ছড়িয়েছে শাসক শিবিরে। তার উপর, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। সেখানেও বৈষম্যের বিষয়টি যে উঠবে, সে নিয়ে কার্যত নিশ্চিত সরকার পক্ষ।