গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে সরব তৃণমূল। লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর, দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হয়ে যাওয়ার পর এ ভাবে কোনও নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসকদল। কেজরীকে গ্রেফতারির তীব্র বিরোধিতা করে একে ‘লজ্জাজনক’ বলেছে কংগ্রেসও।
লোকসভা ভোটের মুখে গ্রেফতার আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী মারলেনার বক্তব্য, গত দু’বছর ধরে আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছেন অন্তত ৫০০ আধিকারিক। তার পরেও এখনও পর্যন্ত এক টাকা উদ্ধার করতে পারলেন না তাঁরা! কী যুক্তিতে কেজরীকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আপ। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তার পরেই এই ঘটনা! বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী, নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মীদের হেনস্থা গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কী?’’
ডেরেক আরও লিখেছেন, ‘‘বেআইনি অধ্যাদেশ জারি করে ওঁর (কেজরীর) প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের আগেই যদি এ ভাবে মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়, কী ভাবে নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব? সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশন যদি এখনই পদক্ষেপ না করে, বিজেপির এই প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কে রুখে দাঁড়াবে?’’ ডেরেকের এক্স হ্যান্ডলের এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে লিখেছেন, ‘‘একজন ভীত স্বৈরচারী শাসকই চায় মৃত গণতন্ত্র তৈরি করতে। মিডিয়া-সহ সব প্রতিষ্ঠান দখল, দল ভাঙা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চাঁদা তোলা, প্রধান বিরোধী দলের তহবিল কেড়ে নেওয়া যথেষ্ট ছিল না, এখন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদেরও গ্রেফতার করতে শুরু করেছে। ভারতবাসী এর উপযুক্ত জবাব দেবেন।’’ কেজরীর গ্রেফতারিকে ‘লজ্জাজনক ও অসাংবিধানিক’ বলেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা। নিন্দা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব।