Pench Tiger Reserve Forest

Collarwali: ১৭ বছর বয়সে মারা গেল ২৯ শাবকের বাঘিনী মা ‘কলারওয়ালি’, শোকের ছায়া দেশ জুড়ে

পেঞ্চ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট নাগাদ কর্মঝিরি রেঞ্জে সে মারা যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:০৪
Share:

১৭ বছর বয়সে মারা গেল বাঘিনী ‘কলারওয়ালি’। ছবি: টুইটার

মারা গেল ‘কলারওয়ালি’। শনিবার সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত কারণে মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের কিংবদন্তি এই বাঘিনী মারা যায়। বনবিদদের একটি দল গত এক সপ্তাহ ধরে তার স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখছিল। ১৪ জানুয়ারি পেঞ্চ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের পর্যটকরা তাকে শেষবারের মতো দেখতে পেয়েছিল।

Advertisement

পেঞ্চ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট নাগাদ কর্মঝিরি রেঞ্জে সে মারা যায়।

১৭ বছর বয়সি বাঘিনী তার জীবদ্দশায় ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ২৯ টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। আর সেই কারণেই সে ‘সুপার মম’ তকমাও অর্জন করেছিল। কলারওয়ালি, ‘টি-১৫’ নামেও পরিচিত ছিল।

Advertisement

তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রাও। তাঁরা কেউ মালা দিয়ে, আবার কেউ হাত জোড় করে কলারওয়ালির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে একটি টুইট বার্তায় জানান, ‘মধ্যপ্রদেশের গর্ব এবং ২৯ টি শাবকের মা কলারওয়ালিকে শ্রদ্ধা জানায়। মধ্যপ্রদেশকে বাঘ রাজ্যের মর্যাদা অর্জনে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। পেঞ্চ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের সর্বদাই তার শাবকদের গর্জনে মুখরিত থাকবে।’

আইএফএস অফিসার পারভীন কাসওয়ান টুইট করে জানান, ‘‘কলারওয়ালিকে পেঞ্চের মা হিসাবে ডাকা হয়। ভারতে বাঘের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।’’

ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (এনটিসিএ) নির্দেশিকা অনুসারে, কলারওয়ালির মৃতদেহটি সৎকার করা হয়েছে এবং তার শরীরের কিছু অংশ পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।

২০০৮ সালের মার্চ মাসে বাঘটিকে একটি ট্রান্সমিটার যুক্ত গলাবন্ধনী (রেডিও-কলার) দেওয়া হয়েছিল। এর পরই তার নাম দেওয়া হয় কলারওয়ালি। আগের রেডিও-কলারটি কাজ করা বন্ধ করার পরে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে তাকে আবার নতুন একটি রেডিও-কলার দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement