যশোধরা রাজে সিন্ধিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
হিমাচল প্রদেশের ছায়া মধ্যপ্রদেশেও। শিবরাজ সিংহ চৌহানের রাজ্যে টিকিট বণ্টন শুরু হতেই অশান্তি শুরু হয়েছে।
যশোধরা রাজে সিন্ধিয়া এ যাত্রায় নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। অন্য দিকে, বাবা কৈলাস বিজয়বর্গীয় টিকিট পাওয়ায় ছেলে আকাশ মনোনয়ন না পাওয়ার আশঙ্কায় ইন্দোর থেকে ভোপালে গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন।
ভোট ঘোষণা না হলেও, ওই রাজ্যে ইতিমধ্যেই দু’টি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে দল। তাতে স্থান পেয়েছেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ সাত সাংসদ। টিকিট কাটা গিয়েছে বেশ কিছু মন্ত্রীর। যা নিয়ে দলেই অসন্তোষ শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে ১৯৯৮ সাল থেকে শিবপুরি বিধানসভা থেকে জিতে আসা যশোধরা দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, চার বার কোভিড হওয়ার কারণে তিনি সুস্থ নন। তাইতাঁর পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রার্থী করুক দল।
যশোধারা শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখালেও, যে ভাবে প্রথম দু’টি তালিকায় মন্ত্রীদের টিকিট বাতিল হয়েছে, তা দেখে ঝুঁকি নিতে চাননি ওই নেত্রী। শেষ পর্যন্ত টিকিট না পেলে সিন্ধিয়া পরিবারের সম্মানহানি হওয়ার আশঙ্কায় আগে থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিতে চেয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বে থাকা যশোধরা। মধ্যপ্রদেশের রাজ্য বিজেপি সভাপতি বি ডি শর্মাও জানিয়েছেন, যশোধরা না লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে দলের পক্ষ থেকে তাঁকে বোঝানোর সমস্ত চেষ্টা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় তালিকায় ইন্দোর (১) কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনিও গোড়া থেকেই নির্বাচনে দাঁড়াতে রাজি ছিলেন না। সূত্রের মতে, পরিবারবাদের নীতি মেনে এক পরিবার থেকে এক জনকে টিকিট দেয় বিজেপি। কৈলাসের ছেলে আকাশ ইন্দোর (৩) কেন্দ্রের বিধায়ক। বাবা টিকিট পাওয়ায় ছেলের টিকিট পাওয়া কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দলের উপর চাপ বাড়াতে তাই আকাশ গতকাল তিন বাস ভর্তি সমর্থক নিয়ে ইন্দোর থেকে ভোপাল গিয়েটিকিটের দাবিতে থানা গেড়েছেন দলের কার্যালয়ে।
সূত্রের মতে, টিকিটের দাবি জানিয়ে গত কাল ও আজ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তবে টিকিট পাওয়ার প্রশ্নে আকাশকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিশ্চয়তা দেননি বলেই দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।