ওড়িশায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সিমলিপাল। সেখানেই লেগেছিল দাবানল। প্রতীকী ছবি।
টানা তিন দিনের ঝড়বৃষ্টিতে অবশেষে নিভে গেল ওড়িশার সিমলিপাল অভয়ারণ্যের দাবানল। জঙ্গলের পশুপাখিদের বাঁচাতে গত কয়েক দিন ধরেই উদয়াস্ত পরিশ্রম করছিলেন বনকর্মীরা। তাঁদের সাহায্য করছিলেন স্থানীয় মানুষ জন এমনকি, পুলিশও। কিন্তু তার পরও নেভেনি আগুন। অবশেষে বৃষ্টিতে সেই আগুন নিভে যাওয়ায় শনিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন বনকর্মীরা। রবিবার বাংরিপোসির কাছে রাঙামাটিয়া বনবিভাগের কর্মীদের দেখা গেল আনন্দে নাচতে। তাঁরা জানান, আগুন নিভিয়ে দেওয়ায় বৃষ্টির দেবতাকে ধন্যবাদ দিতেই এই নাচগানের আয়োজন।
ওড়িশায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সিমলিপাল। তারই একটি বড় অংশ এই বাংরিপোসি। যেখানে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল গত কয়েক দিনে। এ সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারা দাবানলকে ঠেকাতে অনেক সময়েই কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি ঝরানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। বাংরিপোসির আগুন না নিভলে হয়তো ওড়িশা প্রশাসনকেও সেই পদক্ষেপ করতে হত। কিন্তু তার আগে আরও অনেক ক্ষতি হতে পারত জঙ্গলের গাছ এবং প্রাণিজ সম্পদের। শুক্র-শনিবারের বৃষ্টি সেই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল বাংরিপোসিকে।
নাচছেন বনকর্মীরা। বাংরিপোসিতে রবিবার। ছবি: সংগৃহীত
রবিবার সেই স্বস্তিরই বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় ওই অভয়ারণ্যের বনকর্মীদের মধ্যে। বনবিভাগের কর্মী সামাই সোরেন বলেন, ‘‘বৃষ্টি হওয়ায় আমরা খুবই স্বস্তি পেয়েছি। এখন অন্তত এক মাস জঙ্গলে দাবানল লাগবে না বলেই আশা করা যায়। এই সময়টায় দাবানলের ঝুঁকি থাকে। আমরা তাই গত কিছু দিন ধরেই ছুটি পাচ্ছিলাম না। বৃষ্টি হওয়ায় সে দিকেও সুরাহা হল। বনকর্মীরা এখন নিশ্চিন্তে কিছু দিনের ছুটি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। কারণ জঙ্গল নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমল এই বৃষ্টিতে।’’