ডাল লেকে হাউসবোটে আগুন লেগে মৃত তিন জন। —ফাইল চিত্র।
শ্রীনগরে হাউসবোটে অগ্নিকাণ্ডে মৃত তিন জন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তিন বন্ধু তাঁরা। দু’জন চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন, এক জন তীর্থ করতে। তার পরে তিন জনেই পাড়ি জমান ভূস্বর্গে। শ্রীনগরে গিয়ে তাঁরা ডাল লেকের ৯ ও ১০ নম্বর ঘাটের অদূরে নোঙর করা একটি হাউসবোটে উঠেছিলেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ সূত্রের খবর, কাশ্মীরে মৃত তিন জনের দু’জন ইমন দাশগুপ্ত এবং অনিন্দ্য কৌশল (নাথ) সরকারি এঞ্জিনিয়ার। তৃতীয় জন মহম্মদ মাইনুদ্দিন ব্যবসায়ী। ইমন ও মাইনুদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। অনিন্দ্য মীরসরাইয়ের বাসিন্দা। রাঙামাটিতে পূর্ত দফতরে এঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত, ইমন চট্টগ্রামেই নিযুক্ত। স্বজনেরা জানিয়েছেন, ইমন ও মাইনুদ্দিন চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। অনিন্দ্যর বাবা স্বপনকুমার নাথ জানিয়েছেন, অজমের শরিফে তীর্থের উদ্দেশ্যে এ মাসের ৩ তারিখে ভারতে যান তাঁর ছেলে। বাকি দু’জনের সঙ্গে মিলে তাঁরা কাশ্মীরে যান। অনিন্দ্য ও ইমন দু’জনেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তাঁরা চট্টগ্রামের এঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
শনিবার ভোর রাতে আগুন লেগে একটার পর একটা আটটি হাউসবোট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুলিশ ও দমকল বিভাগ স্থানীয়দের সাহায্যে প্রায় ৫ ঘণ্টা লড়াই করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভস্মীভূত হাউসবোটগুলির একটি ঘর থেকে অনিন্দ্য, ইমন ও মাইনুদ্দিনের আংরা হয়ে যাওয়া দেহগুলি উদ্ধার হয়। চট্টগ্রাম পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে তিন জনের মৃত্যুর খবর আসে। কিন্তু তিন জনেরই পাসপোর্ট ও অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিমানবন্দরের নথি থেকে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অনিন্দ্য, ইমন, মাইনুদ্দিনের দেহ চট্টগ্রামে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।