২০ দিন ধরেই পাইথনগুলিকে যেখানে সেখানে দেখতে পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাস্তায় টহল দিচ্ছে তিন তিনটি পাইথন। তাদের বিশালাকার চেহারা দেখে ভয়ে শিউরে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার সীমান্তের ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসীরা সাপ উদ্ধারকারীকে খবর পাঠালে তিনি এসে পাইথনগুলি উদ্ধার করেন এবং জঙ্গলে ছেড়ে দেন। হামিরপুরের সুজনপুর এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গানদাদ গ্রামে তিনটি পাইথনকে ঘুরে বেড়াতে দেখেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০ দিন ধরেই পাইথনগুলিকে যেখানে সেখানে দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। ২০ দিন আতঙ্কে দিন কাটানোর পর এক সাপ উদ্ধারকারী মথুর ধিমানকে ডেকে পাঠান বাসিন্দারা। আলমপুরের বাসিন্দা মথুর তাঁর সহকারীদের সাহায্যে পাইথন তিনটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। তবে পাইথন তিনটি গ্রামবাসীদের কোনও ক্ষতি করেনি বলে জানা যায়। পাইথনের দৈর্ঘ্যের ব্যাপারেও উল্লেখ করেন মথুর। তাঁর দাবি, একটি পাইথনের দৈর্ঘ্য ১৩ ফুট। বাকি দু’টি পাইথনের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৯ ফুট এবং ৭ ফুট।
রক পাইথন প্রজাতির এই পাইথনগুলি বিষধর নয় বলে জানান মথুর। তবে বাঁদর, শেয়াল এবং কুকুর শিকার করে থাকে এই প্রজাতির পাইথনরা। এমনকি মানুষদের উপরেও আক্রমণ করে এরা। লেজ দিয়ে নিজের শিকারকে জড়িয়ে গিলে ফেলে তাদের। মথুর যখন পাইথন ধরতে এসেছিলেন তখন সেই দৃশ্য দেখতে চারপাশে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। এত লোকজন দেখে একটি গর্তে ঢুকে পড়ে পাইথন তিনটি। সেখান থেকে বের করে আনা হয় পাইথনগুলিকে। পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। পাইথনগুলিকে উদ্ধার করার পর হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন গ্রামবাসীরা।