ধর্ষণে অভিযুক্তের থেকে ঘুষ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা, সাসপেন্ড ৩ পুলিশকর্মী। প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের ঘটনা ‘চেপে’ গিয়েছিলেন খোদ পুলিশকর্মীরাই। তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাসপেন্ড হতে হল ৩ পুলিশকর্মীকে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বরেলী জেলায়। কিছু দিন আগে সেখানে চন্দ্রপাল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৩ বছরের মূক ও বধির এক বালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ওঠে। থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে থেকে অর্থ নিয়ে তাঁরা মামলার গতিপ্রকৃতি বদলে দেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের বদলে শ্লীলতাহানির মামলা দেওয়া হয়। পুলিশের উপরমহল এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ৩ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিকর্মীদের দু’জন ইনস্পেক্টর রামঅবতার সিংহ, নরেশ পাল এবং এক জন সাব-ইনস্পেক্টর।
তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অপরাধে লিপ্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে ধর্ষিতা নাবালিকার পরনের জামাকাপড় থানার ভিতরেই বদলে দিয়েছিলেন তাঁরা। ধর্ষণের সময়কার জামা বদলে দেওয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের প্রমাণ দাঁড় করানো যায়নি। এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজকুমার আগরওয়াল বলেছেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে যে তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছিল, সেই কমিশন ওই ৩ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে সত্যি বলে দাবি করেছে। তার ভিত্তিতেই ওই ৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।