—প্রতীকী চিত্র।
বোনের লিভ-ইন সঙ্গীকে হাতুড়ির বাড়ি মেরে মেরে থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল দাদাদের বিরুদ্ধে। তরুণীর দুই দাদা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, বোনের সঙ্গে ঝগড়া করার শাস্তি হিসাবে এই খুন করা হয়েছে।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের ঠাণের কল্যাণ এলাকার। শনিবার সেখান থেকেই অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম শাহবাজ শেখ (২৮)। অভিযোগ, খুনের পর তাঁর দেহ নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও দেহ উদ্ধার করা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের সঙ্গে গত চার বছর ধরে এক তরুণীর সম্পর্ক ছিল। তরুণী বিবাহবিচ্ছিন্না। লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। গত শুক্রবার যুবক নিখোঁজ হন। পুলিশ সেই তদন্ত শুরু করে এবং তরুণীর দুই দাদা এবং তাঁদের এক সঙ্গীকে চিহ্নিত করে। তিন জনকেই শনিবার গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হলেন, শোয়েব শেখ, ইরসাদ শেখ এবং হেমন্ত বিচওয়াড়ে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিক নিয়মিত ঝগড়াঝাঁটি করতেন। সেই কারণেই তাঁকে শাস্তি দিতে খুনের পরিকল্পনা করেন দাদারা। তাঁদের সঙ্গে তাঁদের এক বন্ধুও এই কাজে হাত মেলান। যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বার বার বাড়ি মারা হয়। হাতুড়ির আঘাতেই মাথা থেঁতলে যায় যুবকের। তার পর রক্তাক্ত দেহটি নদীতে ভাসিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন অভিযুক্তেরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে এই খুনের নেপথ্যে অন্য সম্ভাবনাগুলিকেও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।