ফ্ল্যাটের মধ্যে উন্নত পদ্ধতিতে গাঁজার চাষ। ছবি: সংগৃহীত।
গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল ফ্ল্যাটের মধ্যে গাঁজা চাষ করা হচ্ছে। আর সেই খবর পেয়েই গুজরাতের আমদাবাদের বোপাল এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। ফ্ল্যাটে ঢুকতেই তারা চমকে ওঠে। বেশ কিছু পাত্রে থরে থরে সাজানো গাঁজা। শুধু তাই-ই নয়, তল্লাশি চালিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে ৯৬টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার আমদাবাদের বোপাল এলাকার একটি আবাসনে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল আমদাবাদ পুলিশের একটি দল। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ফরেন্সিক দলকেও। একটি অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটের মধ্যে দেদার গাঁজা চাষ এবং সেই গাঁজার রমরমিয়ে ব্যবসা চলছিল তা পড়শিরা টের পাননি? এক প্রতিবেশীর দাবি, তিন যুবক কারও সঙ্গেই তেমন মেলামেশা করতেন না। কেউ তাঁদের বিষয়ে খুব একটা আগ্রহও দেখাতেন না। ফলে ফ্ল্যাটের ভিতর যে এত বড় একটা মাদকের ‘কারখানা’ চলছিল তা আঁচ করতে পারেননি। ১৬তলার ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে রবি প্রকাশ, বীরেন প্রভাত এবং রিতিকা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা সকলেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘরে টবের মধ্যেই গাঁজার চাষ করছিলেন ওই তিন জন। শুধু তাই-ই নয়, অত্যন্ত উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে সেই চাষ করা হচ্ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক চেন্নাই থেকে নিয়ে আসতেন। সেই রাসায়নিক গাঁজা গাছ দ্রুত বড় করার জন্য ব্যবহার করা হত। গ্রিনহাউস বানিয়ে চলছিল গাঁজার চাষ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, যে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, তা উন্নত মানের। বিদেশে এই ধরনের গাঁজার চাষ হয়। এই তিন জনের সঙ্গে কোনও বিদেশি মাদকপাচার চক্রের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোথায় কোথায় গাঁজা সরবরাহ করা হত, কারা সেই গাঁজা কিনতেন, তা-ও জানাক চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।