প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।—ছবি পিটিআই।
উর্দু ও ইংরেজির সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি ভাষার তালিকায় এ বার ডোগরি, কাশ্মীরি ও হিন্দিও ঢুকে পড়ছে। এ জন্য সংসদে জম্মু-কাশ্মীর সরকারি ভাষা বিল পেশ করবে মোদী সরকার। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্তের পরে প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘এটা বলাই যায় যে শুধু যে দীর্ঘদিনের মানুষের দাবি পূরণ হল তা নয়, ২০১৯-এর ৫ অগস্ট যে সকলের সঙ্গে সমান বিচারের নীতি নেওয়া হয়েছিল, তা মেনেই এই পদক্ষেপ করা হল। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’
জম্মু-কাশ্মীরে ইংরেজি ছাড়া শুধুমাত্র উর্দু সরকারি ভাষা হওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষের ক্ষোভ ছিল। বিশেষ করে জম্মুর ডোগরাদের ক্ষোভ ছিল, তাঁদের ডোগরি ভাষা সমান মর্যাদা পাচ্ছে না। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর মোদী সরকার দাবি করেছিল, এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে ভেদাভেদ হবে না। জম্মুর নেতা জিতেন্দ্র সিংহ আজ সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন। ৩৭০ রদ করে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের প্রকৃত সংযুক্তিকরণের কথা বলেছিল মোদী সরকার। সেই সূত্র ধরে হিন্দিকেও জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি ভাষার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার মুসলিমদের মতো কাশ্মীরি পণ্ডিতরাও কাশ্মীরি ভাষায় কথা বলেন। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, কাশ্মীরির বদলে এত দিন যে উর্দু সরকারি ভাষা ছিল, সেটাই বরং অস্বাভাবিক ছিল।