মালতিপুর স্টেশনের কাছে মঙ্গলবার রাতে প্রৌঢ়কে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
তাঁর কন্যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন যুবক। কিন্তু কন্যার পরিবার তাতে রাজি হয়নি। উল্টে কন্যার বাবা অন্যত্র তাঁর বিয়ে দিয়ে দেন! এর পরেই প্রৌঢ়কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। হাওড়া স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনি ভিন্রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে দাবি।
বসিরহাটের মাটিয়া গ্রামের ঘটনা। মালতিপুর স্টেশন সংলগ্ন কোড়াপাড়ার কাছে গত মঙ্গলবার প্রৌঢ় জব্বর মোল্লাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। তিনি পেশায় সব্জিবিক্রেতা ছিলেন। তাঁকে খুনে অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে স্থানীয় যুবক নাজিমুদ্দিন মোল্লার নাম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জব্বরের কন্যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন নাজিমুদ্দিন। কিন্তু জব্বর তাতে রাজি হননি। তিনি অন্যত্র কন্যার বিয়ে দিয়ে দেন। এর পর থেকেই প্রৌঢ়ের প্রতি আক্রোশ পুষে রেখেছিলেন নাজিমুদ্দিন। মঙ্গলবার রাতে ধারালো অস্ত্র হাতে তিনি চড়াও হন প্রৌঢ়ের উপর। তাঁকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যান।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। নাজিমুদ্দিনের বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাটিয়া থানার পুলিশের একটি দল যায় হাওড়া স্টেশনে। সেখান থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে বারাসত আদালতে হাজির করানো হবে।
মাটিয়া থানার ওসি মলয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ নাজিমুদ্দিনকে খুঁজছিল। তিনি ভিন্রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন বলে আন্দাজ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশনে যান তদন্তকারীরা। স্টেশন চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছিল। অভিযুক্তকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।