—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর সদস্য যোগেশ। পুলিশের উপস্থিতিতেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের করা দাবি। অভিযুক্তের বক্তব্যের সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করলেন মথুরার সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) শৈলেশ পাণ্ডে (আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যাতা যাচাই করেনি)।
দিল্লিতে একটি জিমের মালিককে গুলি করে খুনের অভিযোগে যোগেশকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ এবং মথুরা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে যোগেশকে। যোগেশ পুলিশি হেফাজত থেকে দাবি করেন, মথুরায় তাঁর ‘এনকাউন্টার’ ভুয়ো ছিল। মুম্বইয়ে নিহত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুন করা নিয়েও একাধিক মন্তব্য করেন যোগেশ। প্রসঙ্গত, সিদ্দিকিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ। যোগেশ যখন মথুরার রিফাইনারি থানা থেকে এ সব কথা সাংবাদিকদের বলেছেন, তখন থানায় উপস্থিত তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে। ওই তিন জন হলেন সাব-ইনস্পেক্টর রামসানেহি, প্রধান কনস্টেবল বিপিন কনস্টেবল সঞ্জয়।
যোগেশকে গ্রেফতারের পর মথুরার এসএসপি শৈলেশ বলেছিলেন, ‘‘পুলিশ এবং দিল্লির বিশেষ সেলের যৌথ অভিযানে যোগেশ নামে এক বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি একটি এনকাউন্টারে আহত হয়েছেন। দিল্লিতে একটি খুনের ঘটনায় তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছিল।’’ পুলিশের হাতে ধরার পরার পর যোগেশ এই ‘এনকাউন্টার’-এর তত্ত্বই উড়িয়ে দিয়েছেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর দিল্লির রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল জিমের মালিক নাদির শাহকে। সেই ঘটনায় যোগেশের নাম জড়িয়েছিল। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। ইতিমধ্যে মুম্বইয়ে সিদ্দিকি খুনে নাম জড়িয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর। যোগেশের সঙ্গে ওই গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।