UP Crime News

মদের বোতলে প্রস্রাব ভরে দলিত কিশোরকে জোর করে খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার তিন

১৫ বছর বয়সি এক দলিত কিশোরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তাকে চেপে ধরে জোর করে প্রস্রাবও খাইয়ে দেওয়া হয়। তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দলিত কিশোরকে জোর করে প্রস্রাব খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, ১৫ বছরের ওই কিশোর এবং তাঁর পরিবারের উপর রাগ ছিল অভিযুক্তদের। তাই তাঁদের শিক্ষা দিতে এই কাজ করা হয়েছে। মদের বোতলের মধ্যে প্রস্রাব ভরে জোর করে ওই কিশোরকে খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিশোরের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তী জেলার ঘটনা। সাউন্ড সিস্টেম, ডিজের কারিগর হিসাবে একটি দোকানে কাজ করত ওই কিশোর। অভিযোগ, গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে তাদের দোকানকে ডিজে-র বায়না দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই গান বাজানো নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে কিশোর এবং তার পরিবারের গোলমাল হয়েছিল। তারই শোধ তুলতে রাতে কিশোরকে আক্রমণ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে কাজের পর বাড়ি ফিরছিল কিশোর। সেই সময়ে দিলীপ মিশ্র, কিষাণ তিওয়ারি এবং সত্যম তিওয়ারি নামের তিন জন তাকে ঘিরে ধরে। ওই তিন জনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

Advertisement

যুবকের বয়ান অনুযায়ী, খালি মদের বোতলে প্রস্রাব করেন দিলীপ। বাকি দু’জন কিশোরকে চেপে ধরে রেখেছিলেন। ওই বোতল থেকে প্রস্রাব জোর করে তার মুখে ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিশোরকে মারধরও করা হয়। কোনও রকমে বাকি ফিরে পরিবারের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয় কিশোর। তার পর তার দাদা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানতে পেরেছে, গ্রামের অনুষ্ঠানে ডিজে বাজানোর জন্য কিশোরের দোকানে বায়না দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খরচ নিয়ে প্রথমে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। অভিযোগ ছিল, দোকান থেকে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। এর পর অনুষ্ঠানের দিন হঠাৎ করে গান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা নিয়েও নতুন করে বচসা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। এর পরেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement