কোকেরনাগের জঙ্গলে সেনা অভিযান। ছবি: পিটিআই।
পাঁচ দিন হয়ে গেলেও এখনও লড়াই চলছে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে। জঙ্গিদের বাগে আনতে কোকেরনাগের গারুল জঙ্গল ঘিরে ফেলে অভিযান চালাচ্ছে সেনা। নামানো হয়েছে প্যারা কম্যান্ডোও। গভীর জঙ্গলে ঢুকে জঙ্গিদের খতম করার কাজে লাগানো হয়েছে তাঁদের।
সেনার এক সূত্রে খবর, পাঁচ দিন ধরে যে ভাবে লড়াই চালাচ্ছে সেনার সঙ্গে, মনে করা হচ্ছে, বিপুল অস্ত্র নিয়ে অনন্তনাগে ঢুকেছিল জঙ্গিরা। তা ছাড়া জঙ্গিদের পাহাড়ি ঢাল, জঙ্গল এবং দুর্গম এলাকায় লড়াই চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। পাহাড়ের মাথায় একটি গুহায় আশ্রয় নিয়েছে জঙ্গিরা। আর সেই পাহাড় এবং জঙ্গলকে ঢাল বানিয়ে লড়াই চালাচ্ছে। তবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন, জঙ্গিদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। ফলে পালানোর কোনও পথ খুঁজে পাবে না তারা।
জঙ্গিরা সংখ্যায় ২-৩ জন হতে পারে বলে মনে করছে সেনা। এটাও মনে করা হচ্ছে যে, লড়াই চালানোর জন্য তারা ওই পাহাড়ি গুহাকে আগে থেকেই নিজেদের ডেরা বানিয়ে রেখেছিল। যে ভাবে পাঁচ দিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা, এর থেকে স্পষ্ট যে, কাশ্মীরে নিরাপত্তার ধরন বদলানোয়, জঙ্গিরাও হামলার ছক বদলাচ্ছে। বুধবার থেকে লড়াই শুরু হয়েছে। ওই দিন জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে সেনার এক কর্নেল, মেজর এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডিএসপি নিহত হয়েছিলেন।
তার পর থেকে জঙ্গিদের বাগে আনতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সেনা। জঙ্গিরা পিছু হঠেছে ঠিকই, কিন্তু আরও গভীর জঙ্গলে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে তারা। জঙ্গিদের ডেরা লক্ষ্য করে শুক্রবার থেকেই মর্টার, রকেট লঞ্চার এবং ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে সেনা। জঙ্গিদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিতে এবং তাদের খতম করতে ১০০ ঘণ্টার মধ্যে কয়েকশো মর্টার এবং রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। সেনার নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী শনিবার কোকেরনাগের জঙ্গলে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। কী ভাবে এবং কোন কৌশলে জঙ্গিদের খতম করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, সে বিষয়ে তাঁকে জানানো হয়েছে।