IAS

IAS: উত্তরপ্রদেশের এই গ্রাম যেন আইএএস-এর আঁতুড়ঘর! প্রায় প্রতি ঘরে এক জন করে আইএএস

গ্রামেরই চিকিৎসক সজল সিংহ বলেন, “আমাদের গ্রামে উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা অনেক। প্রতি ঘরে একের বেশি সদস্য ন্যূনতম স্নাতক। গ্রামের শিক্ষার হার ৯৫ শতাংশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২১ ১৬:২০
Share:

মাধোপট্টি গ্রামে ঢোকার মুখে বিশাল তোরণ।

কখনও শুনেছেন একটি গ্রাম থেকেই উঠে এসেছে ৪৭ জন আইএএস অফিসার? অবাক লাগলেও বিষয়টা সত্যি।

Advertisement

গ্রামটি উত্তরপ্রদেশের। নাম মাধোপট্টি। জৌনপুর জেলা থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ছোট্ট এই গ্রামটি যেন আইএএস-এর ‘চাষ’ করে! মাত্র ৭৫টি পরিবারের বাস এই গ্রামে। কিন্তু প্রায় প্রতি ঘর থেকেই এক জন করে আইএএস অফিসার দিয়েছে দেশকে। উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাঁরা নিযুক্ত।

দেশের বড় বড় পদে নিযুক্ত হলেও এই গ্রামকে কিন্তু তাঁরা ভোলেননি। ফলে প্রায়শই লাল-নীল বাতির গাড়ির যাতায়াত লেগেই থাকে এই গ্রামে। গ্রামের মহিলারাও পুরুষদের থেকে কোনও ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। তাঁরাও দেশের শীর্ষ পদগুলিতে কাজ করছেন। গ্রামেরই চিকিৎসক সজল সিংহ বলেন, “আমাদের গ্রামে উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা অনেক। প্রতি ঘরে একের বেশি সদস্য ন্যূনতম স্নাতক। গ্রামের শিক্ষার হার ৯৫ শতাংশ। যেখানে গোটা উত্তরপ্রদেশের শিক্ষার হার ৬৯.৭২ শতাংশ।”

Advertisement

সজল জানান, গ্রামের এমনও পরিবার আছে যে ঘরে সব মহিলা এবং পুরুষ আইএএস এবং আইপিএস। ১৯৮০ সালে আশা সিংহ, ১৯৮২-তে ঊষা সিংহ, চন্দ্রমৌল সিংহ ১৯৮৩, ইন্দু সিংহ ১৯৮৩, অমিতাভ ১৯৯৪-এ আইএএস অফিসার হয়েছেন। এবং তাঁর স্ত্রী সরিতা সিংহ ওই বছরই আইপিএস অফিসার হয়েছেন।

কেন এই গ্রাম থেকে এত আইএএস বা আইপিএস উঠে আসে? স্থানীয়দের দাবি, ১৯১৪ সালে এই গ্রামের এক যুবক মুস্তাফা হুসেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে সুযোগ পান। ১৯৫২ সালে গ্রামেরই আর এক যুবক ইন্দু প্রকাশ আইএএস-এ ১৩ র‌্যাঙ্ক করেন। ইন্দু প্রকাশ এবং মুস্তাফা-ই নাকি এই গ্রামের যুবক-যুবতীদের অনুপ্রেরণা। তাই এই গ্রামের যুবক-যুবতীরা আইএএএস এবং আইপিএস-কেই তাঁদের জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement