বিনা টিকিটে ট্রেন যাত্রীদের জরিমানা করে প্রতি অর্থবর্ষে বিপুল অর্থ ভাঁড়ারে তুলে আনে রেল।
আর এই কাজে নজর কাড়লেন বিহারের এক টিকিট পরীক্ষক।
এক বছরে বিনা টিকিটে যাত্রীদের ধরে মোট ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা তুলে এনেছেন শশিকুমার নামে ওই রেলকর্মী।
ওই সময়ের মধ্যে শশী অন্তত ১৬ হাজার বিনা টিকিটের যাত্রীকে পাকড়াও করেছেন।
প্রত্যেক দিন ৩০টি করে ট্রেনের যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করতেন তিনি।
অর্থাৎ, গড় করলে দাঁড়ায় প্রত্যেক ট্রেন থেকে ৪০ জন যাত্রীকে জরিমানা করেছেন শশী।
তিনি মূলত বিহারের দানাপুর, পটনা, বক্সার, দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন স্টেশনেই টিকিট পরীক্ষকের কাজ করেন।
বছর চারেক ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরি পান শশী। রেল সূত্রে খবর, বিনা টিকিটে যাত্রীদের ধরে জরিমানা করে কোটি টাকা তোলার নিরিখে শশীর ধারে কাছে কেউ নেই।
রেলের পূর্ব-মধ্য শাখা থেকে শংসাপত্রও পেয়েছেন শশী। তাঁর হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন ওই রেল শাখার কমার্শিয়াল ম্যানেজার আধার রাজ।
ওই শংসাপত্র থেকে জানা গিয়েছে, পিএনবিই-৪ স্কোয়াডে টিকিট পরীক্ষক হিসেবে চলতি অর্থবর্ষে ৬৮ লক্ষ ৩০ টাকা তুলে এসেছেন শশী।
ওই এক বছরে মোট ২৩৭ দিন কাজ করেছিলেন শশী। পিএনবিই-৪ স্কোয়াডে টিকিট পরীক্ষক হিসেবে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা মোট ১১ হাজার ২৬৭ জন যাত্রীকে ধরেছেন তিনি।
তাঁর কাজকে স্বীকৃতি জানিয়ে পটনার স্টেশন ডিরেক্টর শশীর হাতে একটি শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন।
সরকারের ভাঁড়ারের জন্য এক কোটি ১১ লক্ষ টাকা তুলে আনতে পেরে অত্যন্তই খুশি শশী।
তিনি বলেন, ‘‘আমাকে যেখানেই কাজে পাঠানো হয়েছে, সেখানেই মন দিয়ে কাজ করেছি।’’
পরের অর্থবর্ষে শশীর লক্ষ্য, বিনা টিকিটে যাত্রীদের পাকড়াও করে দু’কোটি টাকা তুলে আনা।