শুভম সৈনি।
রাস্তার ধারে দোকানে চা খেতে গেলেন। চা-ও খেলেন। তার পর পকেট থেকে টাকা বার করে দিতে যাবেন, এমন সময় দোকানদার আপনাকে বললেন, ‘দাদা, চায়ের দামটা কিন্তু ক্রিপ্টোতেই নেব।’ শুনে চমকে ওঠার মতো অবস্থা হল। বলেন কি, চা-ও আবার ক্রিপ্টোতে? যেখানে ছ’টাকা, ১০ বা ২০ টাকা দিলেই হয়ে যায়, সেখানে আবার ডিজিটাল মুদ্রা!
কখনও ভেবেছেন, চা খাওয়ার পর আপনি ক্রিপ্টোতে দাম মেটাচ্ছেন? দেশের কোথাও এমন ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি ঠিকই, এ বার সেই পথেই হাঁটলেন বেঙ্গালুরুর এক যুবক।
শুভম সৈনি। বছর বাইশের যুবক। হরিয়ানার রেওয়ারির বাসিন্দা। বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। সেখানে তিনি রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকান খুলেছেন। দোকানের নাম দিয়েছেন ‘ফ্রাস্টেটেড ড্রপআউট’। সৈনির দাবি, প্রতি সপ্তাহে গড়ে অন্তত ২০ জন নতুন গ্রাহক তাঁর দোকানে আসেন, চা খান এবং বিটকয়েনে দাম মেটান।
২০২০ সালে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন শুভম। কাজের খোঁজে বেঙ্গালুরুতে আসার পর ক্রিপ্টোর দুনিয়ায় পরিচয় হয় শুভমের। ছোটখাটো কাজ করে যে টাকা আয় করতেন তিনি, পুরোটাই ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করতেন। পাশাপাশি বিসিএ নিয়ে পড়াশোনাও করছিলেন। কিন্তু সেই পড়া শেষ না করেই পুরোপুরি ক্রিপ্টোর ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তাঁর ক্রিপ্টো ওয়ালেটে ৩০ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করেন। কিন্তু ২০২১ সালে ক্রিপ্টোর বাজারে ধস নামতেই শুভমের সঞ্চয় এক লক্ষ টাকায় পৌঁছয়।
শুভমের দাবি, তার পরই নিজের খরচ চালানোর জন্য সঞ্চয়ের ৩০ হাজার টাকা নিয়ে চায়ের ব্যবসায় নামেন। টাকার পাশাপাশি, বিটকয়েনের মাধ্যমেও চায়ের দাম নেওয়া শুরু করেন শুভম।