চিতাকেও কি ধোঁকা দিতে পারবে এই ছাগল?
নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতা আনার পর থেকেই চর্চায় দেশের এই জাতীয় উদ্যানটি। দিন কয়েক আগেই আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসা হয়েছে আটটি চিতাকে। কুনো এবং চিতার পাশাপাশি গত কয়েক দিন চর্চায় উঠে এসেছে আরও একটি প্রাণী। সেটি হল একটি ছাগল। যেটিকে কুনোর কর্মীরা ‘ভাগ্যবান’ বলে মনে করছেন।
চিতাগুলিকে কুনো জাতীয় উদ্যানের যে ১২ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছাড়া হয়েছে, সেখানে আগে ছ’টি চিতাবাঘের ‘রাজত্ব’ ছিল। চিতাবাঘের কারণে চিতার যাতে কোনও রকম ক্ষতি না হয় তাই ওই এলাকা থেকে চিতাবাঘগুলিকে অন্যত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৫ অগস্ট নামিবিয়া থেকে ভারতে আনার কথা ছিল চিতাগুলিকে। কিন্তু সেই দিনক্ষণ পিছিয়ে যাওয়ায় বনকর্মীরা কুনোর ওই ছ’টি চিতাবাঘকে ধরার জন্য আরও কিছুটা সময় পেয়ে যান। ১২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খাঁচা পাতা হয়। নানা রকম প্রাণী চিতাবাঘের টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল একটি ছাগল। কুনো সূত্রে খবর, চিতাবাঘগুলিকে ধরার জন্য এই ছাগলটিকে ২০ বার টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কোনও বারই ওই ছাগলকে শিকার করতে পারেনি চিতাবাঘগুলি। ফলে বাঘগুলি ধরা পড়লেও, বহাল তবিয়তেই রয়ে গিয়েছে ছাগলটি। চিতাবাঘগুলি ছাগলটিকে শিকার করতে ব্যর্থ হলেও, চিতা কি শিকার করতে পারবে সেটিকে, সেটাই দেখার।