—ফাইল চিত্র।
দেশে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে। বুধবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের মত, করোনাভাইরাসের নতুন প্রকারভেদ যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে তৃতীয় ঢেউ কোনও মতেই আটকানো যাবে না। যদিও কখন এই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞেরা।
সরকারকে এ বিষয়ে পরামর্শ দেয় যে উপদেষ্টা কমিটি, তারা বুধবার জানিয়েছে, করোনার এই তৃতীয় ঢেউ অপ্রতিরোধ্য। টিকায় বদল ঘটিয়ে, তাকে আরও উন্নত করে করোনার নতুন প্রকারভেদকে সামলানো যেতে পারে। তবে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউকে আটকানো যাবে না কোনও মতেই।
চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী কে বিজয়রাঘবন এ সংক্রান্ত একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বুধবার সেই বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে ভাইরাস যে হারে ছড়াচ্ছে, তাতে স্পষ্ট সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে আর বেশি দেরি নেই। তবে কবে এবং কী ভাবে এই ঢেউ আছড়ে পড়বে— তা এখনও স্পষ্ট নয়’।
রাঘবন বলেন, ‘‘ভাইরাসের যে নতুন প্রকারভেদ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাকে আটকাতে হলে টিকা আরও উন্নত করতে হবে।’’ যদিও তাতে তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো যাবে কি না সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞেরা নিশ্চিত নন।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কাই এখনও সে ভাবে সামলে উঠতে পারেনি দেশ। অক্সিজেনের অভাবে, হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে বা চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন কয়েক হাজার মৃত্যু হচ্ছে দেশে। টিকা নিয়ে বাঁচার চেষ্টাতে বাদ সেধেছে দেশে টিকার ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতেই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিকিৎসকেদের।
কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, লকডাউনই কি এই সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায়? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘যদি তার চেয়েও বেশি কিছু দরকার হয় থাকে, তবে তা ইতিমধ্যেই বহুবার আলোচিত হয়েছে।’’