Tata Sons

বাড়ি বা অফিস নয় তৃতীয় স্থানে হবে কর্মক্ষেত্র, মত টাটা সন্স চেয়ারম্যানের

করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে কর্মক্ষেত্রের চেহারা। অনেকেই মানিয়ে নিয়েছে। এতে যদি উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে, তা হলে মন্দ কী?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ১৯:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনা পরিস্থিতি কর্মক্ষেত্রের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। অনেক কর্পোরেট সংস্থার বেশিরভাগ কর্মীই এখন বাড়ি থেকে কাজ করছেন। কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। তখন কি কর্মীরা আবারও অফিসে ফিরবেন? টাটা সন্স প্রাইভেটের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরণ মনে করছেন, তেমনটা হবে না। এমন একটা স্থান তৈরি করতে হবে যা অফিসও নয়, বাড়িও নয়, মাঝামাঝি, তৃতীয় কোনও স্থান। আর সেই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মহিলারা আরও বেশি করে কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গলবার কাতার ইকনোমিক ফোরামে এই বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন চন্দ্রশেখরণ।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর প্রথমটায় পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে যায়। টাটার ৫ লক্ষ কর্মচারী বাড়ি থেকে কাজ করতে শুরু করেন। তাঁরা দীর্ঘদিন বাড়ি থেকে কাজ করেছেন, আগের মতোই পরিষেবাও দিয়েছেন। এর পরেই টাটা কনসালটেন্সি ঘোষণা করে দেয়, মোট কর্মচারীর এক চতুর্থাংশ অফিসে আসবেন, বাকিরা বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। এই নিয়ম চলবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। যদি কেউ অফিসে আসতে চান, তাহলে তাঁর জন্য অফিস ও বাড়ির মাঝামাঝি কোনও একটি জায়গা ব্যবস্থা করতে হবে, এমনই জানিয়েছেন চন্দ্রশেখরণ। যে বিকল্প স্থানটিকে তিনি ‘তৃতীয় স্থান’ বলে উল্লেখ করছেন।

Advertisement

তিনি মনে করছেন, এতে কর্মচারীদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, কাজও ভাল হবে। সামাজিক কাঠামো থেকে শুরু করে পারিবারিক বিভিন্ন ঘটনার কারণে মাত্র ২৩ শতাংশ মহিলা কাজ করেন। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু জিডি়পি বৃদ্ধি করাই নয়, সমাজের উন্নয়নেও এই পদক্ষেপ কাজে দেবে বলে মনে করছেন চন্দ্রশেখরণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement