উদ্ধার হওয়া সামগ্রী।
শুধু একটি হাতঘড়িই নয়, দিয়েগো মারাদোনার দুবাইয়ের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া আরও একটি মূল্যবান হাতঘড়ি-সহ আরও বহু জিনিস উদ্ধার হল অসমের শিবসাগরে। তার মধ্যে রয়েছে মারাদোনার ব্যবহৃত আরও একটি দামি সোনালি হাতঘড়ি, একটি আই প্যাড, একটি ট্যাব, দু’টি স্কোয়াশ র্যাকেট, ছ’টি লাইটার, দু’জোড়া জুতো, একটি জ্যাকেট, একটি টি-শার্ট, একটি টুপি, একটি ট্র্যাক প্যান্ট, একটি ভ্যাসলিন ও গোলাপি পুতুল হাতি।
মারাদোনা ২০১১-২০১২ সালে দুবাইয়ের আল ওয়াসল ফুটবল ক্লাবে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। পরের বার ২০১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দ্বিতীয় ডিভিশনের দল আল ফুজাইরাহ-র প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেন মারাদোনা। দলকে প্রিমিয়ার ডিভিশনে তুলতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৮ সালে পদত্যাগ করেন তিনি।
অসম পুলিশ সূত্রে খবর, দুবাই শহরে দ্বিতীয় দফায় যে বাড়িতে থাকতেন মারাদোনা সেখানেই ২০১৬ সাল থেকে কর্মচারী ও নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করত আদতে অসমের শিবসাগরের বাসিন্দা ওয়াজ়িদ হুসেন। মারাদোনার দুবাই-ত্যাগের পরে তাঁর ব্যবহার করা ঘড়ি ও অন্যান্য সামগ্রী ওই বাড়িতেই সংরক্ষিত ছিল। দুবাই পুলিশের দাবি, ২০২১ সালের অগস্ট মাসে, ওয়াজ়িদ ওই বাড়ি থেকে মারাদোনার ব্যবহৃত সামগ্রী রাখা বাক্স চুরি করে ভারতে ফিরে আসে। দুবাই পুলিশ বাক্স উদ্ধার করতে না পেরে সাহায্য চায় ইন্টারপোলের। গত বছর নভেম্বরে প্রয়াত হন মারাদোনা।
ওয়াজ়িদের বাড়ির সন্ধান পেয়ে শনিবার ভোরে হানা দেয় শিবসাগর পুলিশ। চড়াইদেওতে থাকা শ্বশুরবাড়ি থেকে ওয়াজ়িদকে গ্রেফতার করা হয়। বাক্স ও বাকি সামগ্রী না মিললেও, তার জিম্মা থেকে মারাদোনার উবলো ঘড়িটি উদ্ধার হয়। যদিও সে দাবি করে ঘড়িটিও তাকে এক নাইজেরিয়ান বন্ধু উপহার দিয়েছিল। গত কাল দিনভর পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়ে চুরির কথা স্বীকার করে ওয়াজ়িদ। আজ ফের তাকে নিয়ে খুমটাই এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে যায় পুলিশ। এসপি রাকেশ রৌশন জানান, ওয়াজ়িদকে দুবাই পুলিশ জিম্মায় নিতে চাইলে তাকে সেখানে পাঠানো হবে।