গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজই হতে পারে। স্পষ্ট হতে পারে সরকারের রূপরেখাও। তার মধ্যেই শিবসেনা দাবি করল, আগামী পাঁচ বছরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন তাদের দলের কেউ। সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, শিবসেনার পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কংগ্রেস এবং এনসিপি উপমুখ্যমন্ত্রী পদের শর্তে রাজি হয়েছে। যদিও কংগ্রেস বা এনসিপির তরফে এ নিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি।
ভোটের আগে একসঙ্গে লড়াই করে সরকার গঠনের মতো সংখ্যা থাকা সত্ত্বেও মূলত মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সংঘাতে ভেস্তে যায় বিজেপি-শিবসেনা জোট। আড়াই বছর করে দু’দলের মুখ্যমন্ত্রীর শর্তে রাজি হয়নি বিজেপি। সে কারণে এনডিএ থেকেও বেরিয়ে এসেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। কোনও দলই সরকার গঠন করতে না পারায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তবে খোলা রয়েছে সরকার গঠনের রাস্তাও।
১২ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরেই শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার তিন দলের জোট সরকার গঠনে সায় দেয় কংগ্রেস। আজ শুক্রবার ফের শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। কিন্তু সেই বৈঠকের আগেই শেষমেশ কী হবে মহারাষ্ট্রে তা নিয়ে সঞ্জয় রাউতের এই দাবি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: অসমে হওয়া এনআরসি বাতিল, রাজ্যসভায় ইঙ্গিত অমিত শাহের
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, চূড়ান্ত ঘোষণার আগেই পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলে কার্যত চাপ বাড়িয়ে রাখল সেনা শিবির। যদিও সেই শর্তে কংগ্রেস-এনসিপি দু’দলই সায় দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে শরদ পওয়ার চাইছেন, আড়াই বছর করে সেনা এবং এনসিপির মুখ্যমন্ত্রী। আলোচনা পর্বে একাধিক বার তেমন জল্পনাও ছড়িয়েছিল। ফলে এনসিপি বেসুরো হয়ে উঠতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের মত।
প্রাথমিক ভাবে জোটের নাম ঠিক হয়েছে ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ অঘদি’ বা মহারাষ্ট্র বিকাশ ফ্রন্ট। কিন্তু সেই জোটের নেতৃত্বে কে থাকবেন, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে। উদ্ধব ঠাকরের নাম আলোচনায় থাকলেও সূত্রের খবর, তিনি নিজেই দলের অন্য নেতার নাম প্রস্তাব করেছেন। ফলে তা নিয়েও শুক্রবারের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে আইনজীবী স্বামীকে খুন! স্ল্যাবের নীচে পুঁতে মাসখানেক সেখানেই রান্নাবান্না
এ ছাড়া অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়েও তিন দলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে জোটকে। বিশেষ করে আদর্শগত ভাবে প্রায় বিপরীত মেরুর দুই দল শিবসেনা এবং কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতার প্রশ্ন বড় হয়ে উঠতে পারে বৈঠকে। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে মহাজোটের সরকারের রূপরেখা কী হবে, তা স্পষ্ট হতে পারে আজকের মধ্যেই।